চলুন ফুলের উপত্যকায় ২: সিকিমের ইয়ুমথাং ভ্যালি

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: শুরু হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের ‘ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স’ দিয়ে। ‘চলুন ফুলের উপত্যকা’র দ্বিতীয় পর্বে আজ ইয়ুমথাং ভ্যালির কথা।    

উত্তর সিকিমে ৩৫৬৪ মিটার (১১৬৯২ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত এই ফুলের উপত্যকা আরও একটি প্রাকৃতিক বিস্ময়। ফুলের নানা রঙ, নানা বাহার। এখানেই শিংবা রডোডেনড্রন স্যাঙ্কচুয়ারি। ২৪ রকমের রডোডেনড্রন হয় আর তার ২৪ রকম ফুল। ইয়ুমথাং থেকে ঘুরে আসতে পারেন ১৫ কিমি দূরে ইউমেস্যামডং তথা জিরো পয়েন্ট (৪৭২৪ মি, ১৫৫১১ ফুট), লাচুং নদীর উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি। কাছেই চিন সীমান্ত। এর পর পর্যটকদের যেতে মানা।

যাওয়ার সব চেয়ে ভালো সময়

ফেব্রুয়ারি ও জুন, ফুল ফোটার সময়।

উত্তর সিকিমের পথ।

কী ভাবে যাবেন

ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি বা বিমানে বাগডোগরা। নিউ জলপাইগুড়ি বা বাগডোগরা থেকে ভাড়া করা গাড়ি বা শেয়ার গাড়িতে গ্যাংটক (নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ১১৬ কিমি, বাগডোগরা থেকে ১২৪ কিমি)। গ্যাংটক থেকে লাচুং, ১০৯ কিমি। লাচুং থেকে ইয়ুমথাং ভ্যালি ২৫ কিমি, সেখান থেকে ইউমেস্যামডং, ১৫ কিমি।

এই পথে রাত কাটাতে হবে গ্যাংটক ও লাচুং-এ। গ্যাংটকে প্রচুর বেসরকারি হোটেল, রিসর্ট আছে। লাচুং-এ থাকার ব্যবস্থা করবেন আপনার ট্রাভেল এজেন্ট। 

প্রয়োজনীয় পরামর্শ

চিন সীমান্তের কাছাকাছি বলে ইয়ুমথাং-ইউমেস্যামডং যেতে হলে সেনাবাহিনীর অনুমতি নিতে হয়। আর এই অনুমতি জোগাড় করে দেন গ্যাংটকের ট্রাভেল এজেন্টরা। তাই গ্যাংটকে পৌঁছে কোনো ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে নর্থ সিকিম যাওয়ার প্যাকেজ বুক করতে হবে। ১ রাত ২ দিন বা ২ রাত ৩ দিনের প্যাকেজ বুক করতে পারেন।

আপনার ভ্রমণসূচিতে নিশ্চয় ইউমেস্যামডং থাকবে। সে ক্ষেত্রে ২ রাত ৩ দিনের প্যাকেজ বুক করাই ভালো। উত্তর সিকিমের রাস্তা কিছুটা ধসপ্রবণ। তাই প্রথম দিন লাচুং পৌঁছোতে পৌঁছোতে বিকেল হয়ে যেতে পারে। সে দিন লাচুং নদীর পাড়ে লাচুং জায়গাটা উপভোগ করে নিন।

পরের দিন প্রথমে চলে যান ইউমেস্যামডং, ফেরার পথে আসুন ইয়ুমথাং ভ্যালিতে। ইয়ুমথাং ঘুরে ফিরুন লাচুং-এ। তৃতীয় দিন ফিরে আসুন গ্যাংটকে।

আরও পড়ুন: চলুন ফুলের উপত্যকায় ১: উত্তরাখণ্ডের ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *