ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: ব্যবসা ভুলে মানবিক মুখ সামনে এনেছেন সিকিমের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সিকিম ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য বিনা খরচায় রাত্রিবাসের জন্য নিজেদের হোটেল এবং হোমস্টেগুলির দরজা খুলে দিয়েছেন তাঁরা।
বস্তুত, মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিপুল জলরাশি তিস্তা নদী দিয়ে বয়ে চলেছে। নদীর তাণ্ডবে আশপাশের এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। এই পরিস্থিতিতে এখন অসংখ্য পর্যটক সিকিমে আটকে পড়েছেন। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলার অন্তত দু’ হাজার পর্যটক সিকিমে আটকে পড়েছেন। জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ। ফলে আপাতত অবরুদ্ধ ফেরার পথও। রাজ্য প্রশাসনের তরফে সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিস্তায় হড়পা বানের জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গন জেলা। ভেসে গিয়েছে বহু সেতু। জলমগ্ন বাড়িঘর। কিছু জায়গায় জলের তোড়ে সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে বড়ো বড়ো বিল্ডিং। কাদাস্রোতের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে বহু বসতি, রাস্তাঘাট, সেনাছাউনি।
সিকিম যাওয়ার সব চেয়ে নির্ভরযোগ্য পথটি যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (সাবেক ৩১এ জাতীয় সড়ক) হয়ে শিলিগুড়ি দিয়ে। ফলে পর্যটকেরা প্রায় সকলেই ওই পথ ধরেই সিকিম যান। বুধবার সকাল থেকে তিস্তার তাণ্ডবে সেই পথ অবরুদ্ধ। অন্য দিকে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ছাড়াও বাংলা থেকে আরও একটি রাস্তা পৌঁছোয় সিকিম। সেই পথ ডুয়ার্স, গোরুবাথান, লাভা, কালিম্পং হয়ে চলে যায় সিকিম। সেই রাস্তার অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ।
এই পরিস্থিতিতে আটকে পড়া পর্যটকদের কত দিনে উদ্ধার করা সম্ভব হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আটকে পড়া পর্যটকদের পাশে আছেন তাঁরা। অন্তত থাকার ঠাঁই এবং সাধ্যমতো খাবার রান্না করে দিতে তাঁদের কোনো অসুবিধা হবে না।