ভ্রমণ-সংস্কৃতি

বোলপুরের কাছেই গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের নিদর্শন! যেন এক সংগ্রহশালা, পর্ব ৫

পর্ব ৫ মুকুট তপাদার সমগ্র এশিয়ার প্রাচীনতম দুর্গামূর্তি দেউলী গ্রামে। অজয় নদীর পাড়ে পার্বতী মন্দির। যার লোকমুখে প্রচলিত নাম খ্যাঁদা পার্বতী। গবেষকরা মনে করেন মূর্তিটি পাল যুগের সময়কার। প্রস্তরমূর্তিটি গ্রামবাসীদের কাছে জাগ্রত দেবী। জনপ্রিয় ধারণা অনুযায়ী আছে বহু রহস্য। গোটা গ্রামে কোথাও দুর্গোৎসব হয় না। শরৎকালে এই প্রস্তরমূর্তিকে শাস্ত্র মতে পুজো করা হয়। নবমীর দিন […]

১৬৩তম জন্মজয়ন্তীতে স্বামীজির বাসভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন

যুগাচার্য স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম শুভ জন্মদিন ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাতদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে স্বামীজির পৈতৃক আবাসে। অনুষ্ঠান চলবে ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত। রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক আবাস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্বামীজির জীবন বিষয়ক বক্তব্য, ধর্মসভা, ভক্তিগীতি, ভজন, সেতার বাদন, ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শন ও চিত্র প্রদর্শনী। ১৬ই জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার ছিল সেতার ও

সপ্তগ্রামে রঘুনাথ দাসের জন্মভিটেতে ৫১৮ বছরের পুরনো মাছের মেলা

সাতগাঁও বা সপ্তগ্রাম জনপদ ঘিরে আছে একাধিক দর্শনীয় স্থান। সেকালের সরস্বতী নদীর ক্ষীণ জলধারা সপ্তগ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। গ্রামীণ জনপদ ঘিরে আছে বহু লোককথা। কনৌজের রাজা প্রিয়বন্তের সাত সন্তান এখানে আসার পর সরস্বতী নদীর তীরে একটি করে গ্রামে তাঁরা বাস করতেন। তাই নাম সপ্তগ্রাম। বাংলার অন্যতম প্রাচীন বন্দর। দেশ-বিদেশ থেকে বণিকেরা বাণিজ্য তরী নিয়ে

শান্তিপুরের মাহাতো পাড়ার ঐতিহ্যবাহী টুসু পরব

পৌষ সংক্রান্তির সঙ্গে শুরু হয়ে যায় আদিবাসীদের লোকউৎসব টুসু পরব। শহুরে মানুষজন কজনই বা খোঁজ রাখে এই লোকায়ত উৎসবের। টুসু গান ও নাচের মধ্যে দিয়ে এই উৎসব এক আলাদা মাত্রা পায়। টুসু লক্ষ্মী ঘরের মেয়ে। চাষ আবাদের দেবী। “তুমি টুসু জলে জাইছে, কবে দেখা পাবো গো!আসছে বছর এমন দিনে, আবার টুসু আইসোগো” শান্তিপুরের মাহাতো পাড়ার

দামোদর নদীর পাড়ে জান্দায় নবাবী আমলের আলুর দমের মেলা

হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায় মিলে পরিচালনা করে প্রাচীন আলুর দম মেলা। সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে রাজবলহাট এর কাছে জাঙ্গিপাড়ার জান্দায় ২০০ বছরের পুরনো আলুর দম মেলা বসে। মেলার পরিচালনা করেন জান্দা পল্লীমঙ্গল সমিতি। প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তির দিন দামোদর নদীর চরে মেলা শুরু হয়। বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ মেলা দেখতে আসেন। আলুর দমের স্বাদ

মহেশ ময়রার দোকান

মহেশ ময়রার জনপ্রিয় গুটকে সন্দেশ

কথিত আছে, হুগলির শ্রীরামপুরে ঠাকুরবাড়ি স্ট্রিটে মহেশ চন্দ্র দত্তের গুটকে মিষ্টি খেয়েছিলেন স্বয়ং রাধাবল্লভ। দেখতে কড়াপাকের জোড়া সন্দেশ। বালক বেশে রাধাবল্লভ বালা বন্ধক রেখে মিষ্টি খেয়েছিলেন। আজো ওই মিষ্টি সমান জনপ্রিয়। বাঙালি মানেই মিষ্টি প্রেম। হঠাৎ ভালো মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে আপনার এবারে গন্তব্য হতেই পারে ঐতিহ্যবাহী মহেশ চন্দ্র দত্তের দোকানে। গুটকে সন্দেশ একবার খেলে

হালিশহরের শ্রীচৈতন্য ডোবা বাংলার পর্যটনে

কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী লিখেছিলেন, বামদিকে হালিশহর দক্ষিণে ত্রিবেণীযাত্রীদের কোলাহলে কিছুই না শুনি হাভেলি থেকে হালিশহর নাম। অতীতের এই স্থানকে বলা হত কুমারহট্ট। কালি সাধক রামপ্রসাদ সেনের বসতভিটা ছিল হালিশহরে। তবে কুমারহট্ট নামটি আরো পুরনো। এককালে সপ্তগ্রাম বন্দরের অধীনে ছিল কুমারহট্ট। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের এক তীর্থ। বহু বৈষ্ণব পণ্ডিতদের বাস। বিবিধ শাস্ত্র পাঠ এখানে হতো। চৈতন্য মহাপ্রভুর

বোলপুরের কাছেই গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের নিদর্শন! যেন এক সংগ্রহশালা, পর্ব- ৩

পর্ব ৩ মুকুট তপাদার দেউলীর মকর সংক্রান্তি মেলা পৌষ মাসে মকর সংক্রান্তিতে সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করে। ২০২৫ সাল, এ বছর মহাকুম্ভ স্নান। ১৪৪ বছর পর এই যোগ আসে। ১৪ই জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। বীরভূমে দেউলীর মকর সংক্রান্তি মেলা উৎসবের সঙ্গে পালন করা হয়। শ্রী শ্রী মহাদেব মন্দির, কুবের নাথ মন্দির, শ্রী শ্রী ভৈরব নাথ মন্দির

পৌষমেলার কাঠের পুতুল – গৌরনিতাই

বাংলার দারুশিল্প বা কাষ্ঠশিল্প জগৎ জুড়ে খ্যাতি। হালকা কাঠ কেটে খোদাই করে বিভিন্ন ভাস্কর্য নির্মিত হয়। সাধারণত হালে কিছু দারুশিল্পী এমন শিল্পকর্মকে বাঁচিয়ে রেখেছে। হাতি, ঘোড়া, রাজা রানী, পেঁচা ইত্যাদি কাঠ খোদাই করে নির্মাণ হয়। তবে এদের মধ্যে অন্যতম কাঠের পেঁচা ও ষোড়শ শতাব্দীর সমাজ সংস্কারক গৌরনিতাই। বাংলায় বিশেষ দারুশিল্পের এই নকশার পুতুল আর কোথাও

Scroll to Top