যুগাচার্য স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম শুভ জন্মদিন ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাতদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে স্বামীজির পৈতৃক আবাসে। অনুষ্ঠান চলবে ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত।
রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক আবাস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্বামীজির জীবন বিষয়ক বক্তব্য, ধর্মসভা, ভক্তিগীতি, ভজন, সেতার বাদন, ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শন ও চিত্র প্রদর্শনী।
১৬ই জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার ছিল সেতার ও তবলা যুগলবন্দী। সেতারে ছিলেন পন্ডিত রবীন্দ্র নারায়ণ গোস্বামী। তবলায় ছিলেন শ্রী সংগ্রাম রায়।

স্বামীজি নিজে বিশ্বাস করতেন সন্ন্যাসী মানে শুধু ভক্তিভাব নয়। ভারতে রজোগুণের অভাব। ডমরু শিঙা বাজাতে হবে। তিনি পরাধীন দেশে স্বাধীনতার বীজ বপন করেন। নিজের ধ্রুপদ সংগীতে অসম্ভব জ্ঞান ছিল। আহম্মদ খাঁর নিকট এসরাজ ও সেতারের তালিম নেন।
১৬ই জানুয়ারি যুগলবন্দী শুরু হয় সন্ধ্যা ৬.৩৫ মিনিটে। শেষ হয়েছিল আটটায়। সুরে সুরে ভরে ওঠে স্বামীজির পৈতৃক আবাসের ঠাকুরদালান। এই দালানেই যুগলবন্দী অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছিল। ঐতিহ্য ও প্রথা মেনে এই মিউজিক অনুষ্ঠান দর্শকদের মধ্যে প্রাণসঞ্চার করে।