ব্রজ-গোপী খেলে হোরী
খেলে আনন্দ নবঘন শ্যাম সাথে।
আজ রঙে রঙে সেজেছে ব্রজধাম। দিগন্ত জুড়ে শুধুই বসন্তের রঙ। মথুরা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে নন্দগাঁও। এক ঐতিহাসিক জায়গা। সেখানে হরেক রঙের আবিরে মেতেছে ব্রজবাসী। ধর্মীয় উৎসব, কিন্তু সে যেন সকল মানুষের একতার বন্ধন। এখানকার জলবায়ু অত্যন্ত মনোরম।
নন্দগাঁও গ্রামে নন্দভবন এক তীর্থ। ভগবান কৃষ্ণের বেড়ে ওঠা এই গ্রামে। পিতা নন্দ মহারাজ কৃষ্ণকে নিয়ে এই পাহাড়ের ওপরে গ্রামে থাকতেন। পাহাড়ের নাম নন্দীশ্বর পাহাড়। আরও দুটি পাহাড় আছে। এদের মধ্যে একটি গিরি গোবর্ধন। মা যশোদার সঙ্গে কৃষ্ণের সকল লীলা এই নন্দগাঁওতে। গিরি গোবর্ধন মন্দির, রাধা মদন মোহন মন্দির, মনসা মন্দির, নরসিংহ মন্দির, যশোদা মাতার মন্দির এখানকার আকর্ষণীয় সব জায়গা।

তিনটি পাহাড়ের মধ্যে একটি পাহাড়ের মাথায় বারসানা গ্রাম। রাধা কৃষ্ণের মিলনস্থল। কথিত আছে যে, শ্রীকৃষ্ণ এখানেই রাধাকে রং মাখিয়ে দেন। এযে এক মিলন ভূমি। মথুরা ও বৃন্দাবনের থেকে এখানকার রঙ খেলা একটু অন্যরকম। হোলির এক সপ্তাহ আগে থেকেই এখানে উৎসবের সূচনা। লাঠি দিয়ে রঙ খেলা হয়। যার নাম লাঠমার হোলি। সারা ভারতে আর কোথাও এমন দৃশ্য দেখা যায় না। নন্দগাঁও ও বারসানা গ্রামে এই বিশেষ হোলির আলাদাই এক আকর্ষন আছে।