তীর্থস্থান

মধু মাসে নন্দগাঁও ও বারসানার হোলি উৎসব

ব্রজ-গোপী খেলে হোরীখেলে আনন্দ নবঘন শ্যাম সাথে। আজ রঙে রঙে সেজেছে ব্রজধাম। দিগন্ত জুড়ে শুধুই বসন্তের রঙ। মথুরা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে নন্দগাঁও। এক ঐতিহাসিক জায়গা। সেখানে হরেক রঙের আবিরে মেতেছে ব্রজবাসী। ধর্মীয় উৎসব, কিন্তু সে যেন সকল মানুষের একতার বন্ধন। এখানকার জলবায়ু অত্যন্ত মনোরম। নন্দগাঁও গ্রামে নন্দভবন এক তীর্থ। ভগবান কৃষ্ণের বেড়ে ওঠা এই […]

শ্রীধামে চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান, চার্লস ডি’অলির ছবি বলছে অন্য কথা

খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল.. আজ দোল পূর্ণিমা। শ্রীধাম নবদ্বীপ ও মায়াপুর দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে মেতে উঠেছে। দোলের দিন গৌর নিতাইকে কেন্দ্র করে মুখরিত হয় নবদ্বীপ মায়াপুরের সকল মন্দির। এই সময় তিন দিন নিরামিষ আহার করেন নবদ্বীপবাসী। আজ এই বিশেষ দিনটিতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব। তিনি কোথায়? তাঁর জন্ম থেকে মৃত্যু আজও রহস্যে ভরা।

কাশীর জ্ঞানবাপী কূপ যা রহস্যে আবৃত

কাশী মোক্ষপুরী। এই স্থানের মাহাত্ম্যে শুধুই পুণ্য ও ধর্ম। শিব নিজের ত্রিশূলে সমস্ত কাশীকে ধরে রেখেছেন। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব একবার মথুর বাবুকে সঙ্গে নিয়ে কাশীধামে এসেছিলেন। তখন মণিকর্ণিকা ঘাটের শ্মশান দেখে বলেছিলেন, দেখিলাম পিঙ্গলবর্ণ জটাধারী দীর্ঘাকার এক শ্বেতকায় পুরুষ গম্ভীর পাদবিক্ষেপে শ্মশানে প্রত্যেক চিতার পার্শ্বে আগমন করিতেছেন এবং প্রত্যেক দেহীকে সযত্নে উত্তোলন করিয়া তাহার কর্ণে তারক

ঘুরে আসুন রাজ্যের বারোটি শৈব তীর্থ,পর্ব ৪

পর্ব ৪ বাংলায় তখন মাঘ মাস। ১৭৪৫ সাল। বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব আলীবর্দী খানের সৈন্যরা হঠাৎ বিদ্রোহ করে বসলেন। সেই সুযোগে চতুর্থবারের মতো বর্গিরা বাংলায় এলো। বাংলার বুকে ত্রাহি ত্রাহি রব। সেই আক্রমণ এসে পড়ল বীরভূম জেলায়। ঘোড়ায় চড়ে বর্গিরা লুঠপাঠ চালালেন বীরভূমে গ্রামের পর গ্রাম। ভাস্কর পন্ডিতের নেতৃত্বে সব গ্রাম তখন বর্গি হানার শিকার। লুঠেরাদের অত্যাচারে

ঘুরে আসুন, বীরভূমের অজানা পাঁচ সতীপীঠ

বীরভূম তন্ত্রপীঠ ও সিদ্ধপীঠ নিয়েই ভরপুর। এই জায়গাতেই তান্ত্রিক ধর্মের সবচেয়ে বেশি প্রভাব। সতীর পাঁচটি দেহাংশ বীরভূমে পড়েছিল। ৫১ সতীপীঠের অন্যতম পাঁচটি হলো নলাটেশ্বরী, নন্দীকেশ্বরী, বক্রেশ্বর, কঙ্কালীতলা ও ফুল্লরা। “লক্ষ লক্ষ ছায়ার শরীর! দুঃখরাশি জগতে ছড়ায়,নাচে তারা উন্মাদ তান্ডবে; মৃত্যুরূপা মা আমার আয়!” পীঠনির্ণয় তন্ত্রে উল্লেখিত যে, দক্ষযজ্ঞের সময় বিষ্ণু সুদর্শন চক্রে সতীর দেহ ৫১টি

বিপ্লবতীর্থ চন্দননগরে বিবেকানন্দ স্মৃতি মন্দির

গঙ্গার পশ্চিম পাড় ফরাসি উপনিবেশ ঘাঁটি চন্দননগর। ফরাসি অধিকারের জন্য শহরের নাম সেকালে হয় ফরাসডাঙ্গা। ফরাসি উপনিবেশ হওয়ার কারণে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বহু বিপ্লবীরা এখানে এসে আশ্রয় নেয়। সেই সময় এখানে কোন অস্ত্র আইন ছিল না। তাই খুব সহজে বিপ্লবীরা এই জায়গাটিকে ঘাঁটি হিসেবে বেছে নেয়। স্ট্র্যান্ড ঘাটের পাশে ফরাসি গভর্নর ডুপ্লের বাসস্থানের ঠিক উল্টোদিকে

বোলপুরের কাছেই গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের নিদর্শন! যেন এক সংগ্রহশালা

মুকুট তপাদার পর্ব ২ বাংলার রাঢ় অঞ্চলটির নাম তখন লাড় দেশ। এখানে একাধিক বণিক শ্রেণীর বসবাস ছিল। অজয় নদ ধরে বাণিজ্য চলতো। দেউলী জনপদের কাছেই এক বন্দর নগর গড়ে ওঠে। সুপুর বন্দর। কার্পাস, রেশম, পশম, তসর, নীল, লাক্ষা প্ৰভৃতি নানা পণ্যদ্রব্য বন্দরে রপ্তানি হত। প্রাচীনকালে সুপুরে বাস করতেন রাজা সুবাহু। পরবর্তীতে অজয় নদ দিয়ে বহু

অযত্ন-অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে কাশীরামের জন্মভিটা

অতীতের ইন্দ্রাণী জনপদ। সেই জনপদের একাংশ ভাগীরথী তটে সিঙ্গি গ্রাম। এই গ্রাম বিখ্যাত হয়ে আছে মহাভারত বাংলা রচয়িতা কাশীরাম দাসের জন্মস্থানের জন্য। আজও এই গ্রামে এলে দেখা যায় কাশীরাম দাসের ভগ্ন ভিটা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘মহাভারত শুধু মহাকাব্যই নয়, ইতিহাসও। এ ইতিহাস বিশেষ ঘটনাবলীর উপর নয়, ভারতবর্ষের শাশ্বত ইতিহাস। ভারতবর্ষের সাধনা, আরাধনা ও সংকল্পের ইতিহাস।

ধামেস্বর মহাপ্রভু

বছরের প্রথম দিন অঙ্গরাগের পর ফের ভক্তদের সামনে আসেন ধামেশ্বর মহাপ্রভু

বৈষ্ণব কবিদের বিবরণ থেকে জানা যায়, “নবদ্বীপ সম্পত্তি কে বর্ণিবারে পারে, একো গঙ্গা ঘাটে লক্ষ লোক স্নান করে।” এই ধাম ছিল এক বৈষ্ণবতীর্থ। মহাপ্রভুর সম্পূর্ণ লীলা দ্বারা বেষ্টিত।

চলুন ত্রিযুগীনারায়ণ, রাত কাটান জিএমভিএন পর্যটক আবাসে  

ত্রিযুগীনারায়ণ ছিল কেদারনাথ দর্শন করে ফেরার পথে বুড়ি ছুঁয়ে আসা। এখন সে দিন পালটেছে। ইচ্ছা করলেই একটা রাত কাটিয়ে আসতে পারেন ত্রিযুগীনারায়ণে। সেই ব্যবস্থাই করেছে গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগম (জিএমভিএন)। অবশ্য কালীকমলীর ধর্মশালা এখানে অনেক দিন ধরেই আছে।   পুরাণের কাহিনি অনুযায়ী, এই ত্রিযুগীনারায়ণেই বিয়ে হয়েছিল হর-পার্বতীর। বিয়ে হয়েছিল অগ্নিকুণ্ডকে ঘিরে নারায়ণকে সাক্ষী রেখে। বিয়ের

Scroll to Top