খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল..
আজ দোল পূর্ণিমা। শ্রীধাম নবদ্বীপ ও মায়াপুর দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে মেতে উঠেছে। দোলের দিন গৌর নিতাইকে কেন্দ্র করে মুখরিত হয় নবদ্বীপ মায়াপুরের সকল মন্দির। এই সময় তিন দিন নিরামিষ আহার করেন নবদ্বীপবাসী। আজ এই বিশেষ দিনটিতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব।
তিনি কোথায়? তাঁর জন্ম থেকে মৃত্যু আজও রহস্যে ভরা। পুরী ধামে মহাপ্রভুর অন্তর্ধানের পর অনেকেই মনে করতেন তিনি জীবিত ছিলেন। আবার এক শ্রেণীর মানুষের বিশ্বাস পুরীতে চৈতন্যকে হত্যা করা হয়।

একসময় নবদ্বীপের চাঁদ কাজীর কোপ পড়ে চৈতন্যের ভক্তি আন্দোলনে। কিন্তু ভক্তিমূলক আন্দোলন কাজী থামাতে পারেননি। এরপর দেশব্যাপী হরি ভক্তি নামের ঢেউ ওঠে।
দোল ও হোলির সময় হাতে দু তিন দিন ছুটি আছে। নবদ্বীপ ভ্রমণ করতে চান? সকাল সকাল খুব অল্প খরচে হাওড়া থেকে কাটোয়া লোকাল ধরে নবদ্বীপ চলে আসুন। নবদ্বীপে চৈতন্যের জন্মস্থান অবশ্যই দর্শন করবেন।

জানেন কি, এই চৈতন্যের জন্মস্থান নিয়েও রয়েছে এক গভীর রহস্য। মুর্শিদাবাদের কান্দির রাজা গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ নবদ্বীপের রামচন্দ্রপুরে এক সুবিশাল মহাপ্রভু মন্দির নির্মাণ করেন।
স্যার চার্লস ডি’অলি ছিলেন একজন ব্রিটিশ চিত্রকর। তিনি ভারতের বহু বিখ্যাত জায়গার ছবি এঁকেছিলেন। ডি’অলির তৈলচিত্রে নবদ্বীপে সেই মহাপ্রভু মন্দিরের ছবি পাওয়া যায়। বলা হয় যে গঙ্গার পাড়ে ওই জায়গাতেই ছিল মহাপ্রভুর আসল জন্মস্থান। গঙ্গার পাড়ে ১৮২৩ সালে মন্দিরটি ভেঙ্গে পড়ে। এরপর গঙ্গায় জায়গাটি বিলীন হয়। সেই ঘটনা আজও এক রহস্যে আবৃত।
অনেকেই বর্তমান মায়াপুর মহাপ্রভুর জন্মস্থান বলে দাবি জানান। অনেক ঐতিহাসিক এই দাবি সম্পূর্ণ ভুল তথ্য মনে করেন। বর্তমানে নবদ্বীপে নিদয়ার ঘাটের কাছে চৈতন্যের জন্মস্থান বলে প্রচলিত জায়গাটিই সকলে দর্শন করতে আসেন।