কলকাতার শিবকৃষ্ণ দাঁ বাড়ির প্রতিষ্ঠিত বেলুড় রাসবাড়ি। বেলুড়ে গঙ্গাতীরে এই বাড়ির মাহাত্ম্য অনেক। রাসবাড়িতে স্বামীজি নিজে এসেছিলেন।

১৮৯০ সালে শিবকৃষ্ণ দাঁ রাসবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। রাসবাড়ি মূলত নবরত্ন মন্দির। ৪০ ফুট উঁচু। ভেতরে রাধারমণ জীউ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত। নবরত্ন মন্দিরের দুপাশে রয়েছে দুটি নহবতখানা। এর সঙ্গেই আছে এক অপূর্ব রাসমঞ্চ। ছটি শিব মন্দির গঙ্গার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে। রাসবাড়ির পাশেই আছে এক চমৎকার ঘড়ি মিনার। ঘড়ির মধ্যে শ্রী শ্রী রাধারমণ জীউ এর নাম বসানো আছে। ঘড়ি মিনারটি ইউরোপীয় শৈলীতে নির্মিত।

এখানে সারা বছর রাস, দোল, জন্মাষ্টমী, ঝুলন উৎসব মহা ধুমধাম করে পালন করা হয়। তবে এর মধ্যে বিশেষ আকর্ষণীয় হলো দোল উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে রাসবাড়ি চত্বর সেজে ওঠে।
বেলুড় রাসবাড়ির বিশেষ আকর্ষণ পঞ্চদোল। যা এখানকার এক অন্যতম বৈচিত্র্য। ফাল্গুনী পূর্ণিমায় দোল উৎসবের ঠিক পরেই পঞ্চদোলের শুভ সূচনা হয়। এই দিনের গুরুত্ব কি জানেন?
পঞ্চদোল গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের অন্যতম প্রধান এক উৎসব। বলা হয়, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই দোলের সূচনা করেন। তাঁর পার্ষদ রামানন্দের সঙ্গে আলোচনা করে মনে করেছিলেন বিশেষ এই উৎসবটির প্রয়োজন আছে। বৃন্দাবনে রাধা কৃষ্ণ সখিদের নিয়ে এই দিনে লীলা করতেন।
বেলুড় রাসবাড়িতে পঞ্চদোল মহোৎসব পালিত হয়। রাধারমণ জীউ এর বিশেষ পুজো হয়। আরতি ও ভোগ নিবেদন করা হয়। রাসবাড়ি ঘিরে সকলে আনন্দে মেতে ওঠেন।
কিভাবে যাবেন:
হাওড়া থেকে ট্রেনে বেলুড় স্টেশন। সেখান থেকে টোটো নিয়ে চলে আসুন রাসবাড়ি। গঙ্গাবক্ষেও আসতে পারেন। লঞ্চে বেলুড় এসে, সেখান থেকে টোটোয় রাসবাড়ি আসতে পারেন।