সপ্তগ্রামে রঘুনাথ দাসের জন্মভিটেতে ৫১৮ বছরের পুরনো মাছের মেলা

সাতগাঁও বা সপ্তগ্রাম জনপদ ঘিরে আছে একাধিক দর্শনীয় স্থান। সেকালের সরস্বতী নদীর ক্ষীণ জলধারা সপ্তগ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে।

গ্রামীণ জনপদ ঘিরে আছে বহু লোককথা। কনৌজের রাজা প্রিয়বন্তের সাত সন্তান এখানে আসার পর সরস্বতী নদীর তীরে একটি করে গ্রামে তাঁরা বাস করতেন। তাই নাম সপ্তগ্রাম। বাংলার অন্যতম প্রাচীন বন্দর। দেশ-বিদেশ থেকে বণিকেরা বাণিজ্য তরী নিয়ে সাতগাঁও বন্দরে ভিড়তেন।

সপ্তগ্রামের কৃষ্ণপুর গ্রামে আছে শ্রী রঘুনাথ দাসের জন্মভিটে। তিনি ছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভুর অন্যতম এক পার্ষদ। নিত্যানন্দ প্রভুর কাছে দীক্ষা নেন।

নিত্যানন্দ ও মহাপ্রভুর টানে রঘুনাথ দাস ঘর ছেড়েছিলেন। একদিন ফিরে এসে গ্রামের সকল মানুষকে পেট ভরে ইলিশ মাছ ও আমের চাটনি রেঁধে খাওয়ান। বসতভিটার সামনে সরস্বতী নদী থেকে জাল ফেলে ইলিশ মাছ ধরেছিলেন। সেই পুরনো রীতি থেকে মাছের মেলা শুরু। যা আজো চলে আসছে।

মাছের মেলাকে বলা হয় উত্তরায়ন মেলা। রঘুনাথ দাস গোস্বামীর স্মরণে মেলাটি হয়। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ মাছের মেলায় আসেন। রুই, কাতলা, ইলিশ, ভেটকি, চিংড়ি, কাঁকড়া থেকে বিশাল সাইজের মাছ বিক্রি হয়।

রঘুনাথ দাসের শ্রীপাটের সামনে আছে এক বিশাল আম বাগান। সেই বাগানে বসে এই মেলা। সকাল থেকেই কেনা বেচা চলে। পয়লা মাঘ হয় মেলাটি। আজো একই রকম শ্রদ্ধার সঙ্গে এই মেলা আয়োজিত হয়ে চলেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top