শান্তিপুরের মাহাতো পাড়ার ঐতিহ্যবাহী টুসু পরব

পৌষ সংক্রান্তির সঙ্গে শুরু হয়ে যায় আদিবাসীদের লোকউৎসব টুসু পরব। শহুরে মানুষজন কজনই বা খোঁজ রাখে এই লোকায়ত উৎসবের। টুসু গান ও নাচের মধ্যে দিয়ে এই উৎসব এক আলাদা মাত্রা পায়। টুসু লক্ষ্মী ঘরের মেয়ে। চাষ আবাদের দেবী।

“তুমি টুসু জলে জাইছে, কবে দেখা পাবো গো!
আসছে বছর এমন দিনে, আবার টুসু আইসোগো”

শান্তিপুরের মাহাতো পাড়ার গৃহস্থ বাড়ির কুমারী মেয়েরা এই টুসু গান গাইতে গাইতে চৌডল নদীতে ভাসাতে যায়। চৌডল দেখতে খানিকটা রথের মত। খুব রঙিন ঝকঝকে দেখতে। পরবে টুসু লক্ষ্মীকে পুজো দিয়ে ঘরের উঠোনে আলপনা আঁকা হয়। মুণ্ডারী ভাষায় বলে টুসু অর্থ পুতুল। টুসু গানের কথায় উঠে আসে জীবনের নানা দিক।

শান্তিপুরের টুসু পরব গ্রামীণ উৎসব। ধিতাং ধিতাং ধামসা মাদল বাজে। নাচে গানে কৃষিভিত্তিক উৎসব উদযাপন হয়। নতুন ফসল টুসু দেবীকে উৎসর্গ করে আদিবাসীরা।

টুসু পরবে নারকেল ও গুড় দিয়ে অনেক ধরনের পিঠে তৈরি হয়। তালপাতার বাঁশি বাজায় ছোট ছোট শিশুরা। মোরগ লড়াই থাকে পরবের বিশেষ আকর্ষণ। আদিম জনজাতির মধ্যে এই পরব যেন প্রকৃতিকে রক্ষা করার বার্তা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top