কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী লিখেছিলেন,
বামদিকে হালিশহর দক্ষিণে ত্রিবেণী
যাত্রীদের কোলাহলে কিছুই না শুনি
হাভেলি থেকে হালিশহর নাম। অতীতের এই স্থানকে বলা হত কুমারহট্ট। কালি সাধক রামপ্রসাদ সেনের বসতভিটা ছিল হালিশহরে। তবে কুমারহট্ট নামটি আরো পুরনো। এককালে সপ্তগ্রাম বন্দরের অধীনে ছিল কুমারহট্ট। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের এক তীর্থ। বহু বৈষ্ণব পণ্ডিতদের বাস। বিবিধ শাস্ত্র পাঠ এখানে হতো।
চৈতন্য মহাপ্রভুর গুরু শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী হালিশহরে বাস করতেন। তখন নাম ছিল কুমারহট্ট। ঈশ্বর পুরী ছিলেন প্রবীণ ধর্মনিষ্ঠ ব্রাহ্মণ। শ্রীচৈতন্যদেব দীক্ষা নেন ঈশ্বর পুরীর কাছে। এরপরেই চৈতন্য হয়ে উঠলেন ষোড়শ শতকের ত্রাণকর্তা।
পরবর্তীতে মহাপ্রভু একবার হালিশহর এসেছিলেন গুরুদেবের জন্মভিটা দেখতে। ভিটাটি দেখে সেখান থেকে তিনি এক মুঠো মাটি নেন। সকল ভক্তরাও দেখাদেখি এক মুঠো করে মাটি নিলেন। ফলে সেই জায়গাটি একটি ডোবায় রূপান্তর হয়। তাই জায়গাটিকে চৈতন্য ডোবা বলা হয়।
বছরের শুরুতে হালিশহরকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বাংলার পর্যটনে স্থান পেয়েছে মহাপ্রভুর পদধূলিধন্য জায়গাটি ও ঈশ্বর পুরীর সাধনক্ষেত্র। সারাবছর ভক্তদের ভিড় দেখা যায়।