পৌষ সংক্রান্তিতে হয় কুমির পুজো। কথায় আছে, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ। নদী জঙ্গলে ঘেরা গ্রামের মানুষ ও মৎস্যজীবীরা কুমিরের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য কুমির পুজো দেন। বিপদের রক্ষাকর্তা।
অনেকে এই পুজোকে বাস্তু পুজো বলেন। বিশ্বাস যে পুজো দিলে বাস্তু দোষ কাটবে। আজকাল এই পুজো একরকম প্রায় বিলুপ্তির পথে।
দুই তিন দিন আগে থেকে মাটি দিয়ে একটি কুমির বানানো হয়। এরপর কুমিরটিকে সাজানো হয়। শেষে তাকে পুজো দিয়ে গলা কাটতে হয়। নাহলে লোকায়ত বিশ্বাস কুমিরটি জীবন্ত হয়ে গ্রামবাসীকে আক্রমণ করবে।
পুজো উপলক্ষে গ্রামের সকল মানুষকে খাওয়ানো হয়। গ্রামের মানুষ নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো পালন করেন। গ্রামবাসী একসঙ্গে মিলিত হয়ে নানারকম অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন।
সুন্দরবন ও নদীয়া জেলার বেশ কিছু অঞ্চলে কুমির পুজোর প্রচলন আছে। কুমিরের হাত থেকে রক্ষার জন্য সুন্দরবনে কালুরায়ের পুজো হয়। গ্রাম বাংলায় কুমির পুজোর রীতি এক আলাদাই অভিনবত্ব স্থাপন করে।