Author name: Bhramon

চলুন মমতাজমহলের স্মৃতি বিজড়িত শাহি হাম্মামের শহরে

‘হাম্মাম’ আরবি শব্দ। ‘হাম্মাম’ থেকে ‘হাম্মামখানা’ শব্দটি এসেছে, যার অর্থ ‘স্নানাগার’ অর্থাৎ ‘গোসলখানা’। তবে সর্বসাধারণের নয়, রাজকীয় গোসলখানা। হাম্মামখানা আদতে সুইমিং পুলের মতো একটি চৌবাচ্চা। মাটি থেকে কিছুটা উঁচুতে তৈরি করা হত। পোড়ামাটির নল দিয়ে গরম ও ঠান্ডা জল চৌবাচ্চায় সরবরাহের ব্যবস্থা থাকত। হাম্মামখানার পাশেই থাকত পোশাক পালটানোর ঘর, থাকত বিশ্রামকক্ষ, আরও অনেক কক্ষ। এ […]

শীতের হিমাচলে ৫/ মণিমহেশের প্রবেশদ্বারে

কনকনে ঠান্ডা হাওয়া সহ্য করেই এগিয়ে যাচ্ছি মন্দিরের দিকে। রাস্তার ধারে উঁকি মারছে ইতিউতি বরফ। মোবাইলে তাপমাত্রা দেখতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ! এই ভরদুপুর বারোটায় তাপমাত্রা বলছে কি না ২ ডিগ্রি! অবশ্য হবে নাই বা কেন। অন্য বার হলে এখন এখানে আসাই যেত না। আবহাওয়া সহায় ছিল বলেই তো আসতে পারলাম। এই অসাধ্য যে সাধন করতে

শীতের হিমাচলে ৪/ জোত পাস, যেখানে হাতছানি দেয় স্বর্গ

মদনলালজি গাড়িটা থামাতেই নিজের চোখকে যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। এ আমি কী দেখছি! আমার সামনে ধবধবে সাদা বরফ! এই বরফ দেখার জন্যই তো এত কড়া শীতেও হিমাচল ভ্রমণের রিস্ক নিয়েছি। অবশেষে তার দেখা পেলাম! গাড়ি থেকে নামতেই আরও এক মায়াবী দৃশ্য। দূরে যত দূর চোখ যায় শুধু তুষারাবৃত পাহাড়ের শ্রেণি। না, এ আর ধৌলাধার

শীতের হিমাচলে ৩/ কাংড়া ফোর্ট দেখে দলাই-ভূমে

গাড়ির দরজা খুলতেই হাড়হিম করা ঠান্ডা গ্রাস করল। এই ট্যুরে আপাতত সব থেকে বেশি ঠান্ডার মুখোমুখি। আকাশের মুখ ভার, সেই সঙ্গে দোসর কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। অথচ এক ঘন্টা আগেই রীতিমতো ঘেমেছি। ঘামব নাই বা কেন, পুরো কাংড়া ফোর্ট হেঁটে উঠতে যে পরিমাণ পরিশ্রম হয়, তাতে ঘামাটাই স্বাভাবিক, সে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ হোক বা মে’এর শেষ

নির্জনবিলাসী ঘাটশিলায় ২ / ‘অপুর পথ’ ধরে সুবর্ণরেখা-তীরে

ছায়ামাখা পথ টিলা ঘিরে উঠে গিয়েছে। আকাশছোঁয়া বনবীথিকা ইঙ্গিত জানায় কাছে আসার। টিলার মাথায় বুনো গাছের জঙ্গল, বসন্তের হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হতে শুরু হয়। সাঁওতাল উৎসবের পূর্ব সূচনা, বাহা পরবের প্রস্তুতি। ঘাটশিলার ফুলডুংরি তখন মাদলের ছন্দে আর মহুয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে ওঠে। টিলা থেকে দেখা যায় নীচের পথ সরু হয়ে মিশে গিয়েছে বনের মধ্যে।

Dhauladhar range from the road to Palampur

শীতের হিমাচলে ২/ ধৌলাধারের পাদদেশে পালমপুরে

ঈশ্বরের কী দান! পালমপুর ঢোকার আগে থেকে ঠিক এটাই ভেবে যাচ্ছিলাম। প্রকৃতির রূপ যে তুলনাহীন। গোটা অঞ্চলের উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে চার-সাড়ে চার হাজার ফুট হবে। কিন্তু সম্পূর্ণ সমতল। সামনেই বরফমাখা ধৌলাধার। অঞ্চলের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়েছে ব্রিটিশ আমলের চা বাগান। এই হল সংক্ষিপ্ত রূপে পালমপুর। আরও পড়ুন শীতের হিমাচলে ১ / যাত্রা শুরু বিলাসপুরে সকালে বিলাসপুর

নির্জনবিলাসী ঘাটশিলায় ১ / বড়ো মন ছুঁয়ে যাওয়া নাম, ফুলডুংরি

অগত্যা সাংবাদিক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হল। পথ ডাকলে কী হবে? মনের সাড়া পেতে হবে। এ ঘর সে ঘর ঘুরে মন বলল চলো যেখানে প্রকৃতির চেটেপুটে স্বাদ নেওয়া যায়, যেখানে বাইরে কঠি্‌ন, ভিতরে নরম মাটির সুর শোনা যায়, সেখানেই খ্যাপার দেখা মিলতে পারে। হয়তো সে অপেক্ষায় থাকবে। পথের ঠিকানা মিলল। তিন দিনের টানা ছুটি মিলেছে।

Govind Sagar Lake from Lake View Hotel

শীতের হিমাচলে ১ / যাত্রা শুরু বিলাসপুরে

শ্রয়ণ সেন এ এক ইচ্ছেপূরণের গল্প। ২০১১-তে মনে জেগেছিল সেই ইচ্ছেটা, আজ পূরণ হল। সেই ইচ্ছেটার কথায় পরে আসছি। আগে শুরুর কথাটা বলি। কাল রাত সাড়ে ১১টায় চণ্ডীগড় স্টেশনে নামতেই আমাদের এসে জড়িয়ে ধরলেন মদনলালজি। সেই মদনলাল শর্মা। ২০১১ সালে কুড়ি দিন ধরে হিমাচল ঘুরিয়েছিলেন তিনি। সে বার প্রথম সাক্ষাতে আমাদের সূচি দেখে কিঞ্চিৎ উষ্মা

দ্য গ্রেট গোয়া ৮ / বিদায় কোলভা, বিদায় গোয়া

গোয়া ভ্রমণ আক্ষরিক অর্থেই শেষ। আজ শুধুই বিশ্রাম। তবে বিশ্রাম মানে যে ঘরে বসে কাটানো সেটাও নয়। সকালে উঠেই চা খেতে খেতে সবাই মিলে বিচে চলে এলাম। বিচে আজ লোকসমাগম অন্য দিনের থেকে একটু বেশি। আজ আমরা পেতে বসার জন্য একটা বড়ো প্লাস্টিকের শিট নিয়ে এসেছি। একটা পছন্দসই জায়গা দেখে সেটা পেতেও ফেলা হল। সবাই

দ্য গ্রেট গোয়া ৭ / দুর্গ দেখে মশলার খামারে

পালোলেম সৈকত একদম সমান। কোনো ঢাল না থাকায় সমুদ্রে অনেকটা এগিয়ে গিয়েও কোমরের উপরে জল ওঠে না। বেশি জলের সন্ধানে একটু বেশি দূরে যাওয়ার চেষ্টা করলে লাইফগার্ড বাধা দেয়।  দূরে যাওয়ার উপায় নেই, কাছে থেকে স্নানের মজা নেই। এমন অবস্থায় আমরা পাড়ের দিকেই ভাঙা ঢেউ খেতে লাগলাম। ঘণ্টাখানেক সমুদ্রস্নান করে উঠে এলাম। এ বার চললাম

Scroll to Top