গাদিয়াড়াকে ঢেলে সাজতে একাধিক উদ্যোগ নিল প্রশাসন

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: কলকাতার সব থেকে কাছের পর্যটনকেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম গাদিয়াড়াকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ঢেলে সাজার উদ্যোগ নিল শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন ও রাজ্য পর্যটন দফতর।

ব্লক প্রশাসন ও পর্যটন বিভাগের কর্তারা সম্প্রতি গাদিয়াড়া এলাকা পরিদর্শন করে দেখেছিলেন। তখনই শিবপুর এলাকার দিকে পার্ক, ক্যাফেটেরিয়া, শৌচালয় এবং পর্যটকদের বসার জায়গা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। গাদিয়াড়া থেকে শিবপুরের দিকের যাওয়ার রাস্তাও সংস্কার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। গাদিয়াড়াতে পর্যটক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পরিকাঠামোগত আরও উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

হুগলি, হলদি ও রূপনারায়ণ নদীর সংযোগস্থলে গড়ে উঠেছে রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র গাদিয়াড়া। নদীতীরের স্নিগ্ধতা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে শীতকালে প্রচুর পর্যটক এই অঞ্চলে এসে ভিড় করেন। অনেকেই পিকনিকের জন্যও এখানে আসেন।

পর্যটকদের থাকার জন্য এখানে অনেক বেসরকারি হোটেলে পাশাপাশি সরকারি লজও তৈরি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ থাকলেও পর্যটকদের বিনোদন বা মনোরঞ্জনের বিশেষ কোনো ব্যবস্থা এখানে ছিল না। নদীর ধারে বসার জন্য বেঞ্চ থাকলেও সেগুলির অবস্থা ছিল তথৈবচ।

আরও বেশি করে পর্যটক টানতে ও তাদের কথা মাথায় রেখেই ব্লক প্রশাসনের তরফে এখানে পার্ক, ক্যাফেটেরিয়া, নদীর ধারের রাস্তার সৌন্দর্যায়ন, রাস্তা সংস্কার-সহ পরিকাঠামো উন্নয়নের বেশ কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে। শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, গাদিয়াড়া পর্যটনকেন্দ্রকে ঢেলে সাজার পরিকল্পনা করা হয়েছে, পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প বিবরণী তৈরি করার কাজও শুরু হয়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রিপোর্ট তৈরি হলে তা সরাসরি রাজ্য পর্যটন দফতরে পাঠানো হবে। পর্যটন দফতরের তরফে প্রকল্প অনুমোদনেরও আশ্বাস মিলেছে।

উল্লেখ্য, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আরও আটটি নতুন হোমস্টে চালু করছে শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন ও পর্যটন দফতর। এই হোমস্টেগুলিতে পর্যটকরা শান্ত পরিবেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি পাশাপাশি ঘরোয়া খাবারও পাবেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলাড়িতে চারটি, গুজারপুর, বাড়খোলা, গাদিয়াড়া ও ধান্দালি এই এলাকায় একটি করে হোম স্টে চালু হবে। ব্লক প্রশাসন এবং পর্যটন দফতরের আশা, এর ফলে পর্যটকদের কাছে গড়চুমুক ও গাদিয়াড়া আরও অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। কবে এই পরিকল্পনা সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়, সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *