ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: তিস্তার উপর দিয়ে প্যারাগ্লাইডিং করার অভিজ্ঞতাটা কেমন হবে বলুন তো? অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের এই মনের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য এ বার নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। সেবক করোনেশন সেতুর পাশেই পউনবু গ্রাম। সেখানে প্যারাগ্লাইডিং চালুর জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে।
একই ভাবে ট্রেকিং রুট হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে ইয়োলবংকে। কিন্তু সেখানে ট্রেকিং করার জন্য রাস্তাঘাট এখনও উপযুক্ত নয়। আপাতত সেই বেহাল রাস্তাঘাট মেরামতিতে নজর দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। নর্থ বেঙ্গল ট্যুরিজম প্রোমোশন টাস্ক ফোর্সের সভায় সম্প্রতি পর্যটনে কালিম্পংকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়।
ওই সভায় পর্যটন দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের আট জেলার জেলাশাসক এবং পর্যটন ব্যবসায় জড়িত ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, “পউনবু প্যারাগ্লাইডিংয়ের জন্য একটি আদর্শ জায়গা হতে পারে। এই ব্যাপারে জিটিএ’র পর্যটন দফতর একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। একই ভাবে ট্রেকিং ডেস্টিনেশন হিসাবে ইয়োলবংয়ের রাস্তাঘাট মেরামতির পরিকল্পনা হয়েছে।”
অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের জন্য প্রায় এক দশক ধরেই পরিচিত সেবক ও তার আশেপাশের এলাকা। তিস্তাবাজারে রিভার র্যাফটিংয়ের বিশাল কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। শীতে বহু পর্যটক র্যাফটিংয়ের নেশায় সেখানে ভিড় করেন। কালিম্পংয়ের ডেলোতে রয়েছে প্যারাগ্লাইডিং সেন্টার। লাভা, লোলোগাঁও, রিশপ সহ একাধিক ট্রেকিং রুট রয়েছে। এ বার সেই তালিকায় নাম জুড়তে চলেছে পউনবু এবং ইয়োলবং।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “পর্যটনের ক্ষেত্রে কালিম্পংয়ে অনেক কিছু করার আছে। পউনবু এবং ইয়োলবংকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হলে ওই এলাকার বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন।”