রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেলো (কালিম্পং): শনিবার দুর্ঘটনায় প্যারাগ্লাইডিং গাইডের মৃত্যুর পর কালিম্পং জেলা প্রশাসনের টনক নড়ল। রবিবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হল কালিম্পং জেলার সমস্ত অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। মৃত পুরুষোত্তম সানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ দিন ডেলো এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখা হল।
শনিবার ডেলোয় পটনার বাসিন্দা গৌরব চৌধুরীকে নিয়ে ওড়ার সময় প্যারাসুটে গোলযোগের ফলে প্যারাগ্লাইডিং গাইড পুরুষোত্তম সানি (২২) মারা যান। গৌরব চৌধুরী গুরুতর আহত হয়ে এখন চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনার ফলে রবিবার থেকে কালিম্পং জেলার ডেলো পহাড়ে প্যারাগ্লাইডিং বন্ধ করে দেওয়া হল। ডেলোর সরকারি লজে ঢোকার মুখে প্যারাগ্লাইডিং করার জন্য যে সব টিকিট কাউন্টার আছে দেখা গেল সেগুলি সব বন্ধ। প্যারাগ্লাইডিং-এর সমস্ত সরঞ্জাম এ দিন লজ এবং পার্কে ঢোকার মুখে গার্ডের ঘরে জমা করে রাখা ছিল। একটি বেসরকারি সংস্থা প্যারাগ্লাইডিং চালাত। টিকিটের দাম ছিল ন্যূনতম ২৫০০ টাকা। দশ মিনিট প্যারাগ্লাইডিং করার জন্য এই ন্যূনতম চার্জ নেওয়া হত। এর পর যে যত বেশি সময় ঘুরতে চাইবেন তাঁর জন্য তত বেশি টিকিটের দাম হত। রবিবার প্যারাগ্লাইডিং পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেল সব শুনশান। কোনো লোকজন নেই। টিকিট বিক্রির কাউন্টারের সামনে ফোন নম্বর দেওয়া থাকলেও তাঁদের ফোন করা হলে কেউ ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন শীতে জলপাইগুড়ি গেলে এই জিনিসটার স্বাদ নিতে ভুলবেন না
কী ভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? এ ব্যাপারে বিভিন্ন মত পাওয়া যাচ্ছে। কেউ বলছেন, জোরে হাওয়া দেওয়ার ফলে গ্লাইডারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আবার কেউ বলছেন, প্যারাসুটের কাপড় ছিঁড়ে বড়ো মাপের ফুটো হয়ে যাওয়ার ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তবে এটা ঠিক শনিবার হাওয়ার গতিবেগ তেমন জোর ছিল না। ডেলোর আবহাওয়া এখন বেশ মনোরম।
মৃত পুরুষোত্তম সানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ডেলো এলাকার বাসিন্দারা রবিবার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখেন। রাস্তার পাশে কালো পতাকা লাগিয়ে রাখা হয়। ডেলোর এক জন দোকানদার মেনকা ছেত্রী বলেন, “অল্পবয়সি একটি ছেলে মারা গেল।এলাকায় বেশ পরিচিতি ছিল তার। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই আমরা দোকানপাট বন্ধ রেখেছি।”
ছবি প্রতিবেদক