ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতি নয়, পশ্চিমবঙ্গ যে ‘বন্দে ভারত’ পেতে চলেছে সেটা হবে সব থেকে মন্থর গতির। কারণ, তারও গড় গতিবেগ হতে চলেছে ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার! এই গতি নিয়ে সে আট ঘণ্টায় হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পাড়ি দেবে, যা শতাব্দীর থেকে ২০ মিনিট কম।
প্রশ্ন উঠছে, পূর্ণ গতিতে ট্রেন ছোটানোর জন্য লাইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার না করে, যথেষ্ট পরিকাঠামোর ব্যবস্থা না করে সাততাড়াতাড়ি এই বন্দে ভারত চালু করা হচ্ছে কেন?
রেল জানাচ্ছে, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত মূলত ডানকুনি থেকে খানা জংশনের মধ্যে সর্বাধিক ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে। তার পর থেকেই গতি কমে হবে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। এখন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেস ৫৬৬ কিলোমিটার দূরত্ব যেতে সময় নেয় আট ঘণ্টা ২০ মিনিট। নতুন যে-বন্দে ভারতের উদ্বোধন হতে চলেছে, হাওড়া থেকে তার নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছোতে প্রায় আট ঘণ্টা সময় লাগবে বলে রেল সূত্রের খবর।
মাত্র ২০ মিনিট সময় বাঁচাতে এত উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রেলেরই অন্দরে। রেলকর্তারা জানাচ্ছেন, কাগজে-কলমে আধুনিক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। কিন্তু হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে বঙ্গের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সর্বাধিক গতি হবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। তা-ও সেটা সারা পথের খুব সামান্য অংশে। রেল জানাচ্ছে, রেললাইনের স্বাস্থ্যের কারণে বাকি পথের অনেক জায়গাতেই ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিতেও ওই ট্রেন চালানো সম্ভব হবে না। বাস্তবে ঘণ্টায় গড়ে ওই ট্রেন ছুটবে মাত্র ৭২ কিলোমিটার গতিতে।
তবে ইতিমধ্যেই রেলের তরফ থেকে এই ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার বাদে সপ্তাহের প্রতি দিন চলবে এই ট্রেনটি। হাওড়া থেকে ভোর ৫:৫৫-এ ছেড়ে এনজেপি পৌঁছোবে দুপুর পৌনে দু’টোয়। ফিরতি ট্রেনটি দুপুর ২:৫০-এ এনজেপি থেকে ছেড়ে হাওড়া পৌঁছোবে রাত ১০:৪০-এ। ট্রেনটি ২২৩০১ আপ এবং ২২৩০২ ডাউন নম্বর নিয়ে ছুটবে। পথে দাঁড়াবে শুধুমাত্র নিউ ফরাক্কা এবং মালদা টাউন স্টেশনে।