ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: দু ‘ দিন পরেই বড়োদিন। সেই সূত্র ধরেই এখন সেজে উঠেছে কলকাতা। আলোর রোশনাইয়ে ঝলমল করছে পার্ক স্ট্রিট, অ্যালেন পার্ক, ক্যাথেড্রাল রোড। সেজে উঠেছে বো ব্যারাকও। ক্রিসমাসের সময় কলকাতাবাসীর অন্যতম ডেস্টিনেশন হয়ে ওঠে এই বো ব্যারাক। এ বছর সেখানে জ্বলে উঠবে থিমেটিক আলো।
দু’ বছর পর কলকাতায় শুরু হয়েছে ক্রিসমাস কার্নিভাল। চলবে আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। অ্যালেন পার্কে ১২তম ক্রিসমাস কার্নিভালের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বছর বো ব্যারাকও ক্রিসমাস কার্নিভালের অংশ। হেয়ার স্ট্রিট থেকে বউবাজার থানার মাঝে এক সরু গলি, ঢুকলেই দেখা যাবে রাস্তার দু’ পাশে সারি সারি লাল বাড়ি। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে বো ব্যারাক। তার সঙ্গে রয়েছে ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তাক্লজ। সরু গলির এক পাশে বিক্রি হচ্ছে কেক আর রেড ওয়াইন।
ক্রিসমাস কার্নিভালে নজর কাড়তে চলেছে নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। যার বেশির ভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে গানবাজনা। কলকাতা পুলিশ ২৬ ডিসেম্বর একটি বিশেষ অনুষ্ঠান করবে। চার্চের গায়করা ইংরেজি, হিন্দি ও বাংলা গান পরিবেশন করবেন। এ ছাড়াও ক্যামাক স্ট্রিটে আয়োজিত হবে বাসকারস মিউজিক্যাল প্রোগ্রাম।
পার্ক স্ট্রিট কিংবা বো ব্যারাক নয়, কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় এই ক্রিসমাস কার্নিভাল হবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, চন্দননগর, ব্যান্ডেল, কৃষ্ণনগর এবং বারুইপুরের চার্চেও ক্রিসমাস কার্নিভাল পালিত হবে।
এর পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, আসানসোল, হাওড়া, বিধাননগর এবং ঝাড়গ্রামের পুলিশ কমিশনারেটগুলিতেও কার্নিভ্যাল শুরু হয়েছে। তবে এগুলি চলবে আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই রাজ্যের চার্চগুলো সেজে উঠেছে ক্রিসমাসের জন্য।
বড়োদিনের উদযাপন পার্ক স্ট্রিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শহরের একাংশ বড়োদিনের সময় পার্কস্ট্রিট চত্বরে ভিড় করে। পাশাপাশি শহরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানেও ভিড় করে। বড়োদিনের ছুটিতে আলিপুর চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম, ভারতীয় জাদুঘর, নিকো পার্ক ইত্যাদিতেও জনসুনামি লক্ষ্য করা যায়। তাই ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মানুষের ভিড় সামলে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর।
ছবি: রাজীব বসু