চার বছর পূর্ণ করল বন্দে ভারত, দেখে নিন এই ট্রেনটি সম্পর্কিত কিছু তথ্য

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: মাত্র দেড় মাস আগে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ট্রেনটি চলে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। গত ৩০ ডিসেম্বর সূচনার পর থেকেই বাঙালিদের যেন আগ্রহ ক্রমশ বেড়েছে এই ট্রেনটির প্রতি। তবে অনেকেই হয়তো ভুলে গিয়েছেন যে বন্দে ভারত ট্রেনটি আদতে চলছে চার বছর হয়ে গেল। হ্যাঁ, ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, এই ট্রেনটি প্রথম বার যাত্রা করে ভারতের মাটিতে।

ট্রেনটির চার বছর পূর্তিতে আসুন দেখে নিই তার সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য:-

ট্রেন ১৮: বন্দে ভারতের প্রথম রেক যে বছর তৈরি হয়েছিল তার ভিত্তিতে এটিকে “ট্রেন ১৮”-ও বলা হয় থাকে। প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই ট্রেনটি নয়াদিল্লি-বারাণসী রুটে চলাচল করে।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রুট: বর্তমানে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভারতীয় রেলের ১০টি রুটে চলাচল করে। সেগুলি হল: দিল্লি-কাটরা, দিল্লি-বারাণসী, গান্ধীনগর-মুম্বই, আম্ব-আন্দাউরা-দিল্লি, মহীশূর-চেন্নাই, নাগপুর-বিলাসপুর, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, সেকেন্দরাবাদ-বিশাখাপত্তনম, মুম্বই-সাইনগর শিরডি ও মুম্বই-সোলাপুর।

এই ট্রেনের গতি: বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হল একটি সেমি-হাইস্পিড ট্রেন। যেটি ১৬০ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম। পাশাপাশি, এই ট্রেন মাত্র ৫২ সেকেন্ডে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে পারে। তবে পরিকাঠামোর অভাব থাকায় এখনও পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে ট্রেনটি এই স্পিড তুলতে পারে না। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির পথে এই ট্রেনটি গড়ে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে চলাচল করে।

৭৫টি বন্দে ভারত: মূলত, ২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে ৭৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার লক্ষ্য নিয়েছে ভারতীয় রেল। এই ট্রেনগুলি বর্তমানে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাlল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, খুব শীঘ্রই রেলের রায়বেরিলি, লাতুর এবং সোনেপত কোচ কারখানায় বন্দে ভারত ট্রেন তৈরি করা হবে।

বিশ্বমানের সুযোগসুবিধা: এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনে যাত্রীরা রীতিমতো বিশ্বমানের সুযোগসুবিধা পান। এমনকি ট্রেনে চেপেই বিমানসফরের উপলব্ধিও পান তাঁরা। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারে ঘূর্ণায়মান আসন রয়েছে।

রয়েছে আরও নতুনত্ব: এর পাশাপাশি এই ট্রেনে রয়েছে বিমানের মতো পার্সোনালাইজড রিডিং লাইট, এলইডি লাইটিং, অটোমেটিক ইন্টারকানেক্টিং ডোর্স এবং ইন্টেলিজেন্ট এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের মতো সুবিধা। এ ছাড়াও ট্রেনগুলিতে রয়েছে ৩২ ইঞ্চির প্যাসেঞ্জার ইনফোটেনমেন্ট স্ক্রিন, টাচ-ফ্রি ফিটিংস সহ বায়ো-ভ্যাকুয়াম টয়লেট, প্রতিটি সিটের সাথে চার্জিং পয়েন্ট, অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং মিনি প্যান্ট্রির মতো সুবিধা।

বন্দে ভারতের স্লিপার সংস্করণ আসছে শীঘ্রই: জানা গিয়েছে বন্দে ভারত ট্রেনের ২০০টি স্লিপার সংস্করণ তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকবে রেল। মূলত, এই ট্রেনগুলি রাজধানী এক্সপ্রেসের থেকে কিছুটা উন্নত মানের হিসেবে বিবেচিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *