ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের কার্তিকস্বামী মন্দির বাঙালি পর্যটকদের কাছে পরিচিত হলেও দেশের তীর্থকেন্দ্র হিসেবে তার বিশেষ পরিচিতি নেই। অথচ ২০০ বছরের পুরোনো এই মন্দিরকে ঘিরে এক বিশাল পৌরাণিক গল্পও রয়েছে। সেই মন্দিরকেই এ বার তীর্থকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করছে উত্তরাখণ্ড সরকার। দক্ষিণ ভারতের তীর্থযাত্রীদের আকর্ষিত করাই উদ্দেশ্য।
কার্তিকস্বামীর গুরুত্ব
উত্তর ভারতের একমাত্র কার্তিক মন্দির হল এই কার্তিকস্বামী। কার্তিকস্বামীর পৌরাণিক গুরুত্ব প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের পর্যটনমন্ত্রী সতপাল মহারাজ বলেন, “কার্তিকস্বামী মন্দিরের ধর্মীয় গুরুত্ব অপরিসীম। অন্য ছেলে গণেশের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করার জন্য শিব এবং পার্বতীর প্রতি রেগে গিয়েছিলেন ভগবান কার্তিক। সেই রাগ থেকে কার্তিক এই অঞ্চলে চলে আসেন।”
ট্রেকিং
কার্তিকস্বামী পৌঁছোতে হয় ট্রেক করে। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কনকচৌরি থেকে কার্তিকস্বামীর ট্রেকিং শুরু হয়। ৩ কিলোমিটার ট্রেকপথটা পুরোটাই জঙ্গলের মধ্যে। তাই বেশির ভাগ পর্যটকই দিনের আলো ফোটার পর ট্রেক শুরু করেন।
কিন্তু যদি রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ট্রেক শুরু করা যায় কনকচৌরি থেকে তা হলে সকাল ছ’টার মধ্যে কার্তিকস্বামী পৌঁছোনো যায়। সে ক্ষেত্রে কার্তিকস্বামী মন্দিরের ঠিক পেছনে অসাধারণ সূর্যোদয় প্রত্যক্ষ করা যায়। চৌখাম্বায় দিনের প্রথম সূর্যের রশ্মি পড়ার দৃশ্য অসম্ভব মায়াবী।
দক্ষিণ ভারতীয়দের টানতে উদ্যোগ
কার্তিকস্বামীতে মূলত বাঙালিরাই যান। হিসেব করলে দেখা যাবে এখনও পর্যন্ত কার্তিকস্বামীতে বাইরের যত পর্যটক গিয়েছেন, তার মধ্যে ৯৫ শতাংশই বাঙালি। তবে এ বার দক্ষিণ ভারতীয়দের টানার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য পর্যটন দফতরের অতিরিক্ত সচিব পুনম চাঁদ বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক আর তামিলনাড়ুর তীর্থযাত্রীদের কার্তিকস্বামীতে নিয়ে আসাই এখন আমাদের উদ্দেশ্য।”
আরও পড়তে পারেন
কালীপুজো-দীপাবলি: শান্তিপুরে চাঁদুনিবাড়িতে পুজোর সময় গৃহদেবতারাও উপস্থিত থাকেন
মঙ্গলবার থেকে টাইগার হিল বয়কটের ডাক দিল গোর্খা গাড়িচালক সংগঠন