ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: এই মুহূর্তে নিজেদের রাজ্যে ৬৭টা পর্যটক আবাস রয়েছে রাজস্থান পর্যটন দফতরের। সেই রেকর্ডটি ভেঙে দিতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন দফতর। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে একশোটা পর্যটক আবাস তৈরি করার চিন্তাভাবনা করছে তারা।
রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “৬৭টা পর্যটক আবাস চালায় সে রাজ্যের পর্যটন দফতর। সারা ভারতের মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য, রাজস্থানকে পেরিয়ে যাওয়া। কয়েক বছরের মধ্যেই সেই লক্ষ্যে আমরা সফল হব বলে মনে করছি।”
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে ৩৪টা পর্যটক আবাস রয়েছে পর্যটন দফতরের। তবে কোচবিহার, পুরুলিয়ার মতো জেলায় এখনও দফতরের কোনো আবাস তৈরি হয়নি। এই সব জেলার দিকে এ বার বেশি করে নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু।
আরও পড়ুন হুগলিকে উইকএন্ড স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ রাজ্যের
তাঁর কথায়, “রাজ্যের মধ্যে আরও অনেক উইকএন্ড স্পট গড়ে তোলার ইচ্ছে রয়েছে আমাদের। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলিতে পর্যটনের প্রসারে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে আরও বেশি করে নতুন নতুন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।”
২০১৯-এর মধ্যেই নামখানায় হাতানিয়া-দোয়ানিয়ার ওপরে নতুন সেতু তৈরি হয়ে যাবে। তার পর দিঘার থেকেও বকখালি যেতে কলকাতার মানুষের কম সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূলবর্তী অঞ্চলে পর্যটনের প্রসারে আরও গতি আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।