টাকিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগণার টাকিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই লক্ষ্য নিয়েই সম্প্রতি টাকি পরিদর্শন করে গেলেন রাজ্যের পর্যটন দফতরের মুখ্যসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, হাসনাবাদের বিডিও অলিম্পিয়া বন্দোপাধ্যায়-সহ একাধিক আধিকারিক।

উচ্চ পর্যায়ের পরিদর্শক দল টাকি পুরসভার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে যান। মিনি সুন্দরবন, গোলপাতার জঙ্গল, একাধিক জমিদার বাড়ি, রাজবাড়ি ঘাট চত্বর, কয়েকটি পুরোনো মন্দির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি জলপ্রকল্প ঘুরে দেখেন তাঁরা।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মিনি সুন্দরবনে একটি ট্রি হাউজ় তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, গাছ নষ্ট না করে তার উপরেই তৈরি হবে কটেজ। এ ছাড়াও, এখানে হরিণালয় তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২৮০ একর জায়গা জুড়ে তৈরি জলপ্রকল্পে ক্রুজ় চালানো হবে। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য তৈরি হবে অ্যাকোয়া রাইড। পুরোনো জমিদারবাড়ি ও মন্দিরগুলিকে আরও আকর্ষক করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনিক তরফে। গুরুত্ব দেওয়া হবে দুর্গাপুজোর বিসর্জনকে যাতে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।

টাকিতে একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। তাঁর তরফ থেকে একজন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “টাকির বিভিন্ন অলিগলির রাস্তা ভালো নয়। পর্যটকেরা এসে গ্রামের ভিতরে কোথাও যেতে চাইলে গাড়ি যেতে চায় না। টোটো করে যেতে পর্যটকদের সমস্যা হয়। তাই টাকির যে কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র আছে সেখানে যাতায়াতের রাস্তার উন্নতির দরকার। সেই সঙ্গে টাকিতে বিশেষ কিছু আকর্ষক বিষয় আনতে হবে। না হলে পর্যটকদের কাছে ক্রমশ আকর্ষণ হারাচ্ছে টাকি । শেষ কয়েক বছর দেখা যাচ্ছে, দুর্গাপুজোর দশমীতে ইছামতীতে নৌকো তেমন নামছে না প্রতিমা নিয়ে। পর্যটকেরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এই বিষয়গুলিতে নজর দেওয়া দরকার।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *