বাঁকুড়া: বছর শেষে নতুন রূপে সাজছে বাঁকুড়ার মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরের লালবাঁধ। সৌজন্যে বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন। পর্যটন শিল্পের প্রসারে এ বার লালবাঁধে স্থায়ী ভাবে নৌকাবিহারের সূচনা হল।
লাল মোরামের রাস্তা শেষে পাড় ভাঙছে বিপুল জলরাশি। জলের মধ্যে ভাসছে নৌকা। তার মধ্যে থেকে শোনা যাচ্ছে বিষ্ণুপুর ঘরানার সংগীত মূর্ছনা। আসতে আসতে সন্ধ্যা নামছে। পোড়ামাটির মন্দিরচত্বর থেকে ভেসে আসছে সন্ধ্যারতির ঘণ্টার আওয়াজ আর নাম সংর্কীতনের সুর। নৌকার লন্ঠনের একের পর এক আলো তখন লালবাঁধের জলে। সংগীত, কীর্তন আর বিষ্ণুপুরের লন্ঠনের মোহময় পরিবেশে সমস্ত কিছুই মিলে মিশে একাকার।
আর ক’দিন পরেই শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিষ্ণুপুর মেলা। তার উপর পর্যটন মরশুম। ইতি-উতি চোখ রাখলেই বোঝা যাবে শহরে শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসব। পোড়ামাটির হাট এক অন্যমাত্রা দিয়েছে এই বিকিকিনির মানুষজনকে। নৌকাবিহার প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক মানস মণ্ডল বলেন, “লালবাঁধে কিছু করার ভাবনা বহু দিনের। আপাতত তিরিশ আসনের একটি নৌকা চলবে। পরে আরও একটা নৌকা নামানো হবে। নৌকাগুলো এক দিকে যেমন পর্যটকদের টানবে অন্য দিকে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।” তিনি আরও বলেন, সাংসদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে বারো লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। নিরাপত্তার দিকটিতেও বিশেষ নজর দিয়েছে প্রশাসন। স্পিডবোট নিয়ে সব সময়ই সজাগ থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নৌকাবিহারে প্রতি ঘন্টায় জনপ্রতি একশো টাকা ভাড়া ধার্য হয়েছে। একই সঙ্গে সংগীত আর নৌকাবিহারের আনন্দ নিতে আপনাকে অবশ্যই আসতে হবে বিষ্ণুপুরের লালবাঁধে।