ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব ক্রমশ কমছে দেশ জুড়ে। এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রায় সব রাজ্যই জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। আর রাজ্যের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য তাদের পর্যটনক্ষেত্রগুলি খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এ ব্যাপারে সব চেয়ে এগিয়ে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ।
কয়েক দিন আগেই হিমাচল সিদ্ধান্ত করেছে, বাইরে থেকে তাদের রাজ্যে ঢোকার জন্য কোনো করোনা নেগেটিভ (আরটি-পিসিআর) রিপোর্ট লাগবে না। এ বার তাদের সিদ্ধান্ত, তাদের রাজ্যে ঢোকার জন্য আগামী ১ জুলাই থেকে কোনো ই-পাস লাগবে না। এ বার বাইরের রাজ্য থেকে খুব সহজেই পর্যটকরা ঘুরতে যেতে পারবেন হিমাচল প্রদেশে।
গত ২৩ জুন রাজ্য মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে ই-পাস পদ্ধতি বিলোপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাইরের রাজ্যগুলি থেকে আসা বাসকে রাজ্যে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে একটাই শর্তে। বাসের যা যাত্রীবহন ক্ষমতা তার ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী থাকা চলবে না। তা ছাড়া, রাজ্যের সমস্ত মন্দির ১ জুলাই থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভীমাকালী মন্দির, সারাহান
কিছু দিন আগে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট না লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিমাচল-হরিয়ানা সীমানায় যানজটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি মানুষজন একটু হাঁপ ছাড়ার জন্য দিল্লি-হরিয়ানা-চণ্ডীগড়ের মানুষ কাছের রাজ্য হিমাচলে ছুটে যান। সেই জ্যামের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
১ জুলাই থেকে রাজ্যের মন্দিরগুলিতে ঢোকার জন্য হিমাচল প্রদেশ সরকারের ভাষা, কলা ও সংস্কৃতি দফতরের তরফ থেকে নীতিনির্দেশ (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দর্শনার্থীদের দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। কোনো কীর্তন, ভজন বা ‘জাগ্রত’ চলবে না।
হিমাচলে ই-পাস তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস এসেছে রাজ্যের পর্যটনক্ষেত্রে। খুশির হাওয়া বইছে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলের মনে। তাঁদের আশা, করোনার কুপ্রভাব কাটিয়ে আবার জমে উঠবে রাজ্যের পর্যটন।
আরও পড়ুন: জোরকদমে চলছে পর্যটনের সঙ্গে যুক্তদের টিকাকরণ, পর্যটকদের পথ চেয়ে উত্তরবঙ্গ