পাঁচটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে ‘আকাশপথ’ তৈরি করছে ঝাড়খণ্ড

Patratu Valley

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে ঝাড়খণ্ড সরকার পাঁচটি জায়গায় ‘আকাশপথ’ (স্কাইওয়াক) তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। এই পাঁচটি জায়গার একটি নেতারহাটে, একটি পাত্রাতুতে এবং বাকি তিনটি রাঁচির আশেপাশে।

এই স্কাইওয়াক প্রকল্প কতটা অর্থকরী ও কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রাথমিক সমীক্ষা চালিয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০২২-এর শেষ দিকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে। এখন কাজের দেখভাল করার জন্য অভিজ্ঞ এজেন্সির খোঁজ করছে পর্যটন দফতর।

পর্যটন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “স্কাইওয়াক তৈরি হবে লাতেহার জেলার নেতারহাটে, রামগড়ের কাছে পাত্রাতুতে এবং রাঁচির তিনটি বিখ্যাত ফলস্‌ হুন্ড্রু, জোনা ও দসমে। এই পাঁচটি জায়গাই ঝাড়খণ্ডের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র। এখানে পর্যটকরা যেমন বিশ্রামের জন্য যান, তেমনই যান অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের জন্যও। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলি থেকেও পর্যটকরা আসেন এই জায়গাগুলিতে।”

ঝাড়খণ্ডের শৈলশহর কুয়াশামোড়া নেতারহাট।

উল্লিখিত পাঁচটি জায়গাই পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে স্বীকৃত। রামগড়ের পাত্রাতু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এর আর-একটি আকর্ষণ পাহাড়ের ঢালে হেয়ারপিন বেন্ডের রাস্তা। রাশিয়ার সহযোগিতায় ডিভিসি এখানে ড্যাম ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে ১৯৬২ সালে।

নেতারহাটের খ্যাতি ঝাড়খণ্ডের শৈলশহর হিসাবে। লাতেহার জেলার এই শৈলশহরকে বলা হয় ‘ছোটোনাগপুরের রানি’। নেতারহাটে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার মতো। এখানকার রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের যথেষ্ট নাম আছে।

রাঁচির খুব বিখ্যাত জলপ্রপাত হুন্ড্রু ফলস্‌। সুবর্ণরেখা নদীর উপর এই ফলস্‌ তৈরি হয়েছে। উচ্চতার দিক থেকে এটি ভারতের ৩৪তম উচ্চতম জলপ্রপাত। রাঁচি থেকে হুন্ড্রুর দূরত্ব ৪৫ কিমি।

দসম ফলস্‌।

রাঁচির কাছে আরও একটি বিখ্যাত জলপ্রপাত হল জোনা ফলস্‌। রাঁচি শহর থেকে এর দূরত্ব ৩৯ কিমি। স্থানীয় আদিবাসীদের ভাষায় এর নাম জোনা হলেও, এই ফলস্‌-এর আর-একটি নাম আছে, গৌতমধারা। কাছেই ভগবান বুদ্ধের মন্দির আছে।

রাঁচি থেকে জামশেদপুর যাওয়ার পথে তাইমারার কাছ থেকে ডান দিকের রাস্তায় দসম ফলস্‌। রাঁচি শহর থেকে ৪৬ কিমি দূরে দসম। দশটি ধারায় এই জল পড়ছে এই জলপ্রপাতে। পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় দসম ফলস্‌।

এই পাঁচ জায়গায় স্কাইওয়াক প্রকল্প চালু হয়ে গেলে স্থানীয় মানুষজনের বিকল্প কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে ঝাড়খণ্ড সরকারের আশা।

(প্রথম ছবিটি পাত্রাতুর হেয়ারপিন বাঁকের রাস্তা)

আরও পড়তে পারেন

গোপীনাথ জিউ-এর রাস উৎসবে মেতে উঠেছে শোভাবাজার রাজবাড়ি

যে দিকে চোখ যাবে শুধুই ময়ূর, মহারাষ্ট্রের এই গ্রাম যেন এক অপার বিস্ময়!

চলুন ঘুরে আসি রাজস্থান ২: জয়পুর-ফতেপুর-বিকানের-অজমের

চলুন ঘুরে আসি রাজস্থান ১: আগ্রা-ভরতপুর-দৌসা-জয়পুর-সরিস্কা-অলওয়র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *