১ অক্টোবর থেকে খুলে যাচ্ছে হিমাচলের হোটেল

ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: পর্যটকদের যেন সুখবর! আগামী ১ অক্টোবর থেকে হিমাচল প্রদেশের হোটেল খুলছে। কোভিড ১৯ মহামারির কারণে ছ’ মাসের বেশি বন্ধ থাকার পর আবার হোটেলের দরজা খুলে যাচ্ছে পর্যটকদের জন্য।

অতিথিদের জন্য প্রয়োজনীয় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) চালু করে কাজ শুরু করার ব্যাপারে কুলু-মানালি অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যটনস্থলের হাজার দুয়েকেরও বেশি হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টে এবং গেস্ট হাউস সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শিমলা, ধরমশালা, ম্যাকলিয়ডগঞ্জ এবং ডালহৌসির মতো শৈলশহরগুলির হোটেলেও আগামী মাসের শেষ দিক থেকে পর্যটকরা ঘর সংরক্ষণ করতে পারবেন।

এবং আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর, একটি হোটেলে ন্যূনতম পাচদিন থাকার যে বিধি চালু করেছিল রাজ্য সরকার তা শিথিল করে দু’ দিন করা হয়েছে।  

রাজ্য সরকার আন্তঃরাজ্য লোক ও মাল পরিবহণের ব্যাপারে বিধিনিয়ম কিছুটা শিথিল করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হোটেল-রিসর্ট খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে হিমাচলের বাইরে থেকে যাঁরা আসবেন তাঁদের বাধ্যতমূলক ভাবে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে।

তবে হোটেলমালিকরা চান আন্তঃরাজ্য চলাচলের ব্যাপারে সব রকম নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক এবং পানশালা খোলার বিষয়েও অনুমতি দেওয়া হোক। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো অনুমতি মেলেনি।

মঙ্গলবার মানালি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বৈঠকে বসেন। সেখানে ঠিক হয়, তাঁরা তাঁদের কাজ শুরু করবেন এবং অতিথিদের ‘নিরাপদ ও আরামদায়ক’ থাকার ব্যবস্থা করবেন।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনুপ ঠাকুর বলেন, “হোটেলভবন এবং আনুষঙ্গিক সব স্যানিটাইজ করা, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা এবং স্যানিটাইজারের মতো প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করার জন্য আমরা হোটেলমালিকদের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। মাস্ক-গ্লাভস পরে কী ভাবে অতিথিদের সেবা করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি কী ভাবে মেনে চলতে হবে সে সম্পর্কে হোটেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।”

হাড়িম্বা মন্দির, মানালি।

তিনি জানান, ১ অক্টোবরের মধ্যে হোটেলগুলো একেবারে ফিটফাট হয়ে যাবে। পর্যটকরা যে একেবারে কোভিড ১৯ সংক্রমণমুক্ত পরিষেবা পাবেন সেই ব্যাপারটি সুনিশ্চিত করা হবে।

এই পর্যটনশিল্পের উপর যাঁরা নির্ভরশীল অর্থাৎ ট্যাক্সি অপারেটর, ট্যুরিস্ট গাইড, অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রমের প্রোমোটার ইত্যাদি সকলের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অনুপ ঠাকুর জানান।

বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে হোটেলগুলোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো। প্রয়োজনীয় সব রকম সতর্কতা এবং সুরক্ষাবিধি মেনে যে হোটেলগুলো খোলা দরকার সে বিষয়ে তাদের সচেতন করা হবে।

কোনো হোটেলে অতিথিদের থাকার মেয়াদ দু’ দিন করার সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়েছেন শিমলা ও ডালহৌসি অঞ্চলের হোটেলমালিকরা।  

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই পর্যটকদের জন্য পাহাড় খুলে দিতে চায় জিটিএ

তবে শিমলা হোটেলস অ্যান্ড রেস্টুর‍্যান্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় সুদ বলেছেন, পানশালা খোলার অনুমতি না দেওয়াটা প্রশাসনের একটা বড়ো খামতি।

তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচিত আন্তঃরাজ্য চলাচলে সব রকম শর্ত তুলে দেওয়া। তখনই পর্যটকরা হিমাচল প্রদেশে অবসর কাটাতে আসবেন। সরকার মদ বিক্রিতে অনুমতি দিয়েছে অথচ হোটেল-রেস্তোরাঁয় বার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। লোকেরা বাজার থেকে মদ কিনছেন আর জাতীয় সড়কের ধারে বা অন্যব কোনো রাস্তার ধারে গাড়ি পার্ক করে তার ভেতরে বসে খাচ্ছেন।”

পর্যটকদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে করে আনার যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তা-ও তুলে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সঞ্জয় সুদ।          

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *