জি-২০ পর্যটন সম্মেলন নির্বিঘ্নে শেষ হল কাশ্মীরে

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে বরাবরই অন্যতম প্রথম পছন্দের স্থান হল কাশ্মীর। সেই কাশ্মীরেই এ বার আয়োজিত হয়েছিল জি-২০ পর্যটন সম্মেলন। সেই সম্মেলন সফল ভাবে শেষ হল। চলতি সপ্তাহে তিন দিন ধরে শ্রীনগরে চলা জি-২০ বৈঠকে শুধু পর্যটন নয়, উপত্যকায় ফিল্ম ট্যুরিজম থেকে ইকো ট্যুরিজমের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে বেশ কিছু শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে পর্যটন মন্ত্রকের চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

গত ২২ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী জি-২০ বৈঠক আয়োজিত হয় কাশ্মীর উপত্যকায়। মূলত, পর্যটন ওয়ার্কিং কমিটি গ্রুপের বৈঠক হয়। এই বৈঠকে চিন, তুরস্ক ও সৌদি আরব যোগ না দিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের সামনে উপত্যকায় পর্যটন থেকে সিনেমা তৈরির সম্ভাবনাময় দিকগুলি তুলে ধরেন জি-২০ আহ্বায়ক হর্ষবর্ধন স্রিংলা, কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী জি. কিষাণ রেড্ডি, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, শেরপা, অমিতাভ কান্থ-সহ ভারতের অন্যান্য প্রতিনিধি।

ভূস্বর্গে ফিল্ম ট্যুরিজমের সম্ভাবনার দিকটি প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে জি-২০ প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন জম্মু-কাশ্মীর পর্যটন সচিব সঈদ আবিদ রশিদ শাহ। দীর্ঘ আলোচনা পর এই বৈঠকেই ফিল্ম ট্যুরিজম বাড়ানোর জন্য পর্যটন মন্ত্রক ও ফিকির মধ্যে মউ স্বাক্ষরিত হয়। একই সঙ্গে ইকো ট্যুরিজমের উন্নয়নে পর্যটন মন্ত্রক ও সিআইআই-এর মধ্যে মউ স্বাক্ষরিত হয়। কাশ্মীরের পর্যটনের ক্ষেত্রে এটা বড়ো পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শ্রীনগরের ডাল লেক সংলগ্ন শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত হয় তিন দিনের জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক বৈঠক ছিল উপত্যকায়। ফলে এই বৈঠক ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা ছিল।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বৈঠকের আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল শ্রীনগর-সহ গোটা কাশ্মীর। শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয় সমগ্র বৈঠক। এই বৈঠকে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *