হয় দু’টি ডোজের শংসাপত্র, না হয় আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট, পর্যটকদের জন্য ফের বিধি জারি হিমাচলে

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: পর্যটকদের জন্য ফের কড়া নিয়ম জারি করল হিমাচল সরকার। গত কয়েক দিন ধরে হিমাচল প্রদেশে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। বাড়ছে সংক্রমণের হারও। সে কারণেই বাইরে থেকে হিমাচলে প্রবেশ করতে হলে ওই নিয়ম ফের পালন করতে হবে। শুক্রবার ১৩ আগস্ট থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে।

বাইরের রাজ্যের পর্যটকদের হিমাচলে ঢুকতে গেলে এখন থেকে কোভিডরোধী টিকার দু’টি ডোজের শংসাপত্র দেখাতে হবে অথবা থাকতে হবে আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট। দু’টোর একটি শর্তও পূরণ করতে না পারলে রাজ্যে ঢুকতে পারবেন না পর্যটকরা।

রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা পড়ে এমনই জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যসচিব রাম সুভাগ সিংহ। এই সপ্তাহের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব বলেন, “রাজ্যে সংক্রমণ এবং সংক্রমণের হার এখনও ঊর্ধ্বমুখী। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হল।”

পর্যটন কেন্দ্রে কোভিডের দাপট কম

করোনার দাপট কিছুটা কমতেই হিমাচল প্রদেশ পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিল। এই রাজ্যে ঢোকার জন্য সমস্ত রকম বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছিল। ফলে রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হয়।

এর পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে ফের বাড়তে শুরু করে করোনা সংক্রমণ। সেই দিকে দৃষ্টি রেখেই ফের বিধিনিষেধ চালু করা হল। কিন্তু সত্যিই কি পর্যটকদের আগমনের জন্য রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে? করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য কিন্তু সে কথা বলে না। দেখা যাচ্ছে, জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলি যে যে জেলায় অবস্থিত সেখানে করোনার দাপট তুলনামূলক ভাবে বেশ কম।

রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৩ জন। সংক্রমণের হার ছিল ২ শতাংশের আশেপাশে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ একশোয় নেমে গিয়েছিল। ফের তা বেড়ে তিনশোর ঘরে উঠে এসেছে।

তবে সব থেকে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে কাংড়া এবং মান্ডি জেলায়। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দুই জেলায় ৯০ জন করে মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য দিকে, শিমলা জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন। আরও এক পর্যটনকেন্দ্র মানালি যে জেলায় অবস্থিত সেই কুলু জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৭ জন।

ফলে পর্যটন চালু করা বা পর্যটকদের কারণে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এমন ধারণার স্বপক্ষে কোনো তথ্য নেই।

সূত্র: খবরঅনলাইন

আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগর গেলে কখনোই সরভাজা-সরপুরিয়ার স্বাদ নিতে ভুলবেন না, বাড়ির জন্য বেঁধেও আনবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *