ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। আর এই লকডাউনে থেকে মানুষ কিছু অভ্যাস রপ্ত করছে। এর একটি হল নিজেদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব রাখা, পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বা সামাজিক দূরত্ব। একটা সময় আসবে, যখন লকডাউন উঠে যাবে। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ না হয়, তার জন্য যাত্রীদের মধ্যে এই দূরত্ব বজায় রাখতে চায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থেই কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত করতে পারে।
খবর পাওয়া যাচ্ছে, বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ভবিষ্যতে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ভাবে আন্তর্জাতিক ও অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা চালু করবে।
দেশের সব বিমানবন্দরেই কিছু কিছু ব্যবস্থা পাকাপাকি ভাবে কার্যকর করা হবে। এর মধ্যে একটি হল বিমানে যাত্রীদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ানো। প্রত্যেক সারিতে মাঝের আসনটি এবং বিমানের শেষ তিনটি সারি খালি রাখা হবে।
বিমানে খাবার দেওয়ার পদ্ধতিও বদলানো হবে। বিমানকর্মী (কেবিন ক্রু) আর যাত্রীদের মধ্যে সংযোগ কমাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিমান ছাড়ার আগে থেকেই বিমানকর্মীরা যাত্রীদের আসনে প্যাকেট করা খাবার রেখে দেবেন। এ ছাড়াও, যাত্রীরা এ বার থেকে নিজেদের খাবার সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারবেন।
আরও পড়ুন: দেশের সব হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার ভুয়ো খবর ওড়াল কেন্দ্র
এ ছাড়াও, বিমানসংস্থাগুলিকে বলা হবে, যাত্রীদের এক সঙ্গে বিমানে না তুলে সময়ের তফাত রেখে তোলা। তিনটে সারির যাত্রীদের এক সঙ্গে তুলে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে পরের তিন সারির যাত্রীদের তুলতে হবে। তা ছাড়া, বিমানবন্দরে চেক-ইন করার সময় আর সিকিউরিটি চেকের সময় প্রতি দু’ জন যাত্রীর মধ্যে দু’ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে।
দেশে বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২৪ ঘণ্টা কাজ করে চলেছে বলে সাংবাদিকদের জানান দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেডের (ডিআইএএল) সিইও বিদেহ কুমার জয়পুরিয়া। দিল্লি দিয়ে যে সব বিমান চলছে তার মধ্যে রয়েছে মালবাহী বিমান ও এ দেশে আটকে থাকা বিদেশিদের তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যাত্রী-বিমান। এই সব বিমান এসেছে জার্মানি, জাপান, নরওয়ে, আফগানিস্তান, পোল্যান্ড, রাশিয়া আর ফ্রান্স থেকে। ইতিমধ্যে ৫০টিরও বেশি এ ধরনের বিমান চলেছে দিল্লি বিমানবন্দর দিয়ে।