দিল্লি বিধানসভা থেকে লালকেল্লা সুড়ঙ্গপথের খোঁজ, বছরখানেকের মধ্যেই খুলে দেওয়া হবে দেখার জন্য

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: এ বার দিল্লি বেড়াতে গেলে দর্শনীয় স্থানের তালিকায় যোগ হতে পারে আরও একটি জায়গা – একটি গোপন সুড়ঙ্গ। শত বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক সুড়ঙ্গটির সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু হয়ে। আগামী বছরের ১৫ আগস্ট নাগাদ ওই সুড়ঙ্গ দর্শকদের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে।

দিল্লি বিধানসভা থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত বিস্তৃত ওই সুড়ঙ্গপথটি সম্ভবত ধৃত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে যাওয়ার ব্রিটিশ আধিকারিকরা ব্যবহার করতেন। জনরোষ থেকে বাঁচার জন্যই এই পথে নিয়ে যাওয়া হত স্বাধীনতার যোদ্ধাদের। এ কথা জানান দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রামনিবাস গোয়েলন। তবে ওই সুড়ঙ্গের ইতিহাস তিনি কোথাও পাননি বলে জানান।     

বিশ শতকের গোড়ার দিকে নির্মিত এই ঐতিহাসিক সুড়ঙ্গটির সবটাই অবশ্য দেখা যাবে না। স্পিকার জানান, এই দীর্ঘ সময়ে ওই সুড়ঙ্গের উপর বিভিন্ন জায়গায় নানা নির্মাণকাজ হয়েছে। ভূগর্ভস্থ পয়ঃপ্রণালী এবং দিল্লি মেট্রোর নির্মাণকাজের জন্য ওই সুড়ঙ্গপথ অনেক জায়গা ধ্বংসও হয়ে গিয়েছে।

রামনিবাস গোয়েল বলেন, ১৯৯৩ সালে বিধায়ক হওয়ার পর তিনি এই সুড়ঙ্গের কথা প্রথম জানতে পারেন। কিন্তু ইতিহাসে এর কোনো উল্লেখ পাননি। তিনি জানান, ১৯১২ সালে দেশের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরিয়ে আনার পর এখনকার দিল্লির বিধানসভা ভবন কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ তথা সেন্ট্রাল লেগিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি হিসাবে ব্যবহার করা হত। ১৯২৬ সালে এটি আদালত ভবন হয়ে যায়। তখন বিচারের জন্য এই ভবনে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে আসা হত।

গোয়েল জানান, এখানে ফাঁসির ঘরও ছিল কিন্তু তা কখনও খোলা হয়নি। এখন সুড়ঙ্গপথের প্রবেশপথটা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু নানা কারণে ওইসুড়ঙ্গপথ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বেশি খোঁড়াখুঁড়ি করা যাচ্ছে না।

গোয়েল বলেন, “আমরা শীঘ্রই এর সংস্কার করব এবং তার পরেই জনগণের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হবে। আশা করি, আগামী বছরের ১৫ আগস্টের মধ্যে এর সংস্কারকাজ শেষ হয়ে যাবে।”

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে এই সুড়ঙ্গপথের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। তাই এর সংস্কারকাজ এমন ভাবে করা হবে যাতে পর্যটকরা এবং দর্শনার্থীরা দেশের সেই ইতিহাস সম্পর্কে একটা ধারণা করতে পারেন, বলেন রামনিবাস গোয়েল।

সূত্র: খবরঅনলাইন

আরও পড়তে পারেন

লিঙ্গরাজ মন্দিরের দরজা খুলে গেল ১ সেপ্টেম্বর থেকে

খুলে গেল মেঘালয়ের দরজা, চলুন শিলং, চেরাপুঞ্জি বা মওলিননং

দার্জিলিং-এর টয় ট্রেনে চেপে চলুন জঙ্গল টি সাফারিতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *