মুম্বই: বুধবার, ৩১ আগস্ট ছিল গণেশচতুর্থী। সে দিনই শুরু হয়েছে দশ দিনব্যাপী গণেশ উৎসব। সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজোয় মেতে উঠেছে মুম্বই-সহ গোটা মহারাষ্ট্র। তবে এরই মধ্যে গণেশের বিসর্জনও হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।
মুম্বইয়ে গণেশ পুজো দশ দিনের জন্য পালিত হলেও সেলিব্রিটি এবং বাড়ির পুজোর বিসর্জন হয়ে গিয়েছে শুক্রবারই। সাধারণত দশ দিনব্যাপী এই উৎসবে তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম এবং সর্বোপরি দশম দিনে বিসর্জন হয়। মুম্বইয়ের সব থেকে বড়ো পুজোগুলো চলে দশ দিন। তাদের বিসর্জন হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। করোনার জন্য গত দু’বছর অনেকটাই ফিকে ছিল গণেশ উৎসব। সেই কারণে এ বার মানুষের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
মুম্বইয়ের সব চেয়ে বড়ো পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম লালবাগুচা রাজা। ১০০ বছরেরও বেশি আগে লোকমান্য টিলক এই পুজো শুরু করেছিলেন। পুজোমণ্ডপে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন লেগেই থাকে সব সময়। এখানে দশ দিনের পুজোয় ভক্তরা তাঁদের মানত রক্ষার্থে সোনা-রূপা-হিরের যে গয়না দান করেন, তার অর্থমূল্য এবং প্রণামী মিলিয়ে কোটি টাকারও বেশি আয় হয়।
তবে মুম্বইয়ের গণেশপুজোর সঙ্গে কলকাতার দুর্গাপুজোর তুলনা করলে কিছুটা ভুল হবে। কারণ পুজোর চার দিনই কলকাতায় যেমন ছুটি থাকে, মুম্বইয়ে সেটা থাকে না। মূলত পুজোর প্রথম এবং দশম দিন সার্বিক ছুটি থাকে। আর ছুটি থাকে পুজোর মধ্যে পড়ে যাওয়া সপ্তাহান্তগুলোতে।
পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে, অন্যান্য বারের মতো এ বারও পরিবেশবান্ধব গণেশ মূর্তি তৈরির ওপরেই জোর দিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
আরও পড়তে পারেন
উঠে গেল অভ্যন্তরীণ বিমানভাড়ায় নিয়ন্ত্রণ, যাত্রীরা কি লাভবান হলেন
সুন্দরবনকে নিয়ে দশ দিনের দুর্গাপুজো প্যাকেজ, পর্যটনের প্রসারে একাধিক উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গের
ওনাম উৎসবে মেতে উঠেছে কেরল, চলবে ৮ তারিখ পর্যন্ত