দেশের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ: কোথায় কী ভাবে যাবেন

somnath temple
সোমনাথ মন্দির। ছবি সৌজন্যে গোআইবিবো।

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: শিব ভারতের সকলের অতি প্রিয় দেবতা। সারা ভারতে শিব ছড়িয়ে আছেন বিগ্রহ আর লিঙ্গমূর্তিতে। এই সব শিবলিঙ্গের কোনোটি স্থাপিত, কোনোটি স্বয়ম্ভু।  স্বয়ম্ভু শিবলিঙ্গগুলির মধ্যে আচার্য শংকর তাঁর পরিব্রাজক জীবনে যেখানে যেখানে গিয়ে বিশেষ দর্শন ও অনুভূতি লাভ করেছেন, সেগুলিকে তিনি দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ হিসাবে নির্বাচিত করে গিয়েছেন।  এই সব জ্যোতির্লিঙ্গ যে যে মন্দিরে অধিষ্ঠান করছেন সেই মন্দিরগুলি শুধু তীর্থযাত্রীদের কাছেই নয়, পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয়।  কোনোটি স্থানমাহাত্ম্যের জন্য, কোনোটি আবার স্থাপত্যকলার জন্য বিখ্যাত। কোথায় এই জ্যোতির্লিঙ্গগুলি, সেখানে কী ভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, তার যাবতীয় তথ্য সাজিয়ে দিল ভ্রমণ অনলাইন।

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির

kashi vishwanath
ছবি সৌজন্যে নিউজ স্টেট।

সব দেবতার সেরা কাশীর বিশ্বনাথ। অন্যতম প্রাচীন এই মন্দির বারাণসীতে গঙ্গার পশ্চিম তীরে অবস্থিত। দেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় তীর্থস্থান। দশাশ্বমেধ ঘাট থেকে দক্ষিণে এগোতেই ডান হাতি এবং গোধুলিয়া থেকে বাঁ হাতি বিশ্বনাথের গলি।

কী ভাবে যাবেন

দেশের প্রায় সব জায়গার সঙ্গে ট্রেন ও বিমানপথে যুক্ত বারাণসী।

কোথায় থাকবেন

বারাণসীতে থাকার অঢেল জায়গা আছে। আছে উত্তরপ্রদেশ পর্যটনের রাহি ট্যুরিস্ট বাংলো। অনলাইন বুকিং http://uptourism.gov.in । তা ছাড়া অসংখ্য ধর্মশালা, অতিথিশালা, হোটেল রিসর্ট আছে। নেট সার্চ করলেই সন্ধান পাওয়া যায়। ভারত সেবাশ্রম সংঘে থাকতে চাইলে আগাম বুকিং করতে হবে কলকাতা অফিস থেকে (২১১ রাসবিহারী অ্যাভেনিউ, কলকাতা ৭০০০১৯, ফোন ০৩৩২৪৪০৫১৭৮/২৩২৭, ০৩৩২৪৬০১৩৮১)।  

কেদারনাথ

kedarnath temple
ছবি সৌজন্যে চারধাম ট্যুর ডট কম

হিমালয়ের কোলে ১১৭৫৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কেদারনাথ। অত্যন্ত প্রাচীন এই মন্দির। আজকের মন্দির অষ্টম শতকে শংকরাচার্যের তৈরি। মন্দির খোলে অক্ষয় তৃতীয়ার সময় এবং বন্ধ হয় ভাইফোঁটার দিন। শীতের সময় ছয় মাস মন্দির বন্ধ থাকে এবং বিগ্রহ এই সময় উখিমঠে থাকে।

কী ভাবে যাবেন

দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে ট্রেনে হরিদ্বার আসুন। বিমানেও আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আসতে হবে দেহরাদুন। হরিদ্বার থেকে বাস বা গাড়ি ভাড়া করে অথবা দেহরাদুন থেকে গাড়ি ভাড়া করে শোনপ্রয়াগ পৌঁছোন, সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে গৌরীকুণ্ড, ৫ কিমি। সেখান থেকে হাঁটা ১৬ কিমি। হাঁটার পথটুকু হেলিকপ্টারে গিয়েও কেদারনাথ দর্শন করা যায়। বিস্তারিত জানতে দেখুন http://www.uttaranchaltourism.in ।  

কোথায় থাকবেন

গৌরীকুণ্ড, লিনচোলি (গৌরীকুণ্ড-কেদারনাথ পথে) এবং কেদারনাথে সরকারি পর্যটন সংস্থা জিএমভিএন-এর থাকার ব্যবস্থা আছে। অনলাইন বুকিং http://gmvnl.in। ভারত সেবাশ্রম সংঘে থাকতে চাইলে আগাম বুকিং করতে হবে কলকাতা অফিস থেকে (২১১ রাসবিহারী অ্যাভেনিউ, কলকাতা ৭০০০১৯, ফোন ০৩৩২৪৪০৫১৭৮/২৩২৭, ০৩৩২৪৬০১৩৮১)। মন্দির কমিটির গেস্ট হাউস আছে। এ ছাড়াও মরশুমে অনেক অস্থায়ী থাকার ব্যবস্থা হয়ে যায়।

মনে রাখবেন

কেদারনাথ যাওয়ার জন্য হরিদ্বার বা শোনপ্রয়াগে উত্তরাখণ্ড পর্যটনের অফিস থেকে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়।

সোমনাথ

inside somnath temple
মন্দিরের ভেতর। ছবি সৌজন্যে গোআইবিবো।

গুজরাত রাজ্যের সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে প্রভাসক্ষেত্রে অবস্থিত এই সোমনাথ মন্দিরটি ছয় বার ধ্বংস হয়েছে এবং প্রতি বারই ধ্বংসের পরেই নতুন করে তৈরি হয়েছে।

কী ভাবে যাবেন

অমদাবাদ শহর ভারতের প্রায় সব জায়গার সঙ্গে ট্রেন ও বিমানপথে যুক্ত। অমদাবাদ থেকে সোমনাথ এক্সপ্রেসে ভেরাবল আসুন, ৪৩১ কিমি। রাত ১০টায় ছেড়ে সকাল ৬.২০-তে পৌঁছে যায়। ভেরাবল স্টেশন থেকে সোমনাথ, ৮ কিমি। বাস, অটো, গাড়ি পাবেন।

কোথায় থাকবেন

সোমনাথে থাকার সব চেয়ে ভালো ব্যবস্থা শ্রীসোমনাথ ট্রাস্টের অতিথিশালা – লীলাবতী অতিথিভবন, মহেশ্বরী অতিথিভবন ও সাগরদর্শন গেস্ট হাউস। অনলাইন বুকিং https://booking.somnath.org/GuestHouse/ । এ ছাড়া রয়েছে অনেক বেসরকারি হোটেল, নেটে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে।

নাগেশ্বর

nageshwar
ছবি সৌজন্যে ত্রিনেত্র।

শিবপুরাণ মতে দারুকাবনে এই নাগেশ্বরের অধিষ্ঠান। বর্তমানের মন্দিরটি তুলনায় খুবই নবীন। জাঁকজমকপূর্ণ এই মন্দির ইতিমধ্যেই দর্শকমন জয় করেছে।

কী ভাবে যাবেন

গুজরাত ভ্রমণের অবশ্য অঙ্গ দ্বারকা দর্শন। দ্বারকা থেকে ওখার পথে ১৭ কিমি যেতে নাগেশ্বর। ওখা থেকে ১৯ কিমি।  ভারতের প্রায় সব জায়গার সঙ্গে ওখা ট্রেন পথে যুক্ত। ওখা থেকে গাড়িতে নাগেশ্বর হয়ে দ্বারকা।  বিমানে অমদাবাদ এসে সেখান থেকে ট্রেনে, বাসে বা গাড়িতে দ্বারকা আসা যায়।  

কোথায় থাকবেন

দ্বারকায় থেকে নাগেশ্বর দেখে নেবেন। দ্বারকা থেকে বেট দ্বারকা দেখতে যাওয়ার জন্য ওখা থেকে বোট ধরতে হয়। বেট দ্বারকা দেখে দ্বারকা ফেরার সময় নাগেশ্বর দেখে নেবেন। দ্বারকায় থাকার জন্য রয়েছে গুজরাত ট্যুরিজমের তোরান ট্যুরিস্ট বাংলো (ফোন ০২৮৯২-২৩৪০১৩), অনলাইন বুকিং http://booking.gujarattourism.com/। এ ছাড়া রয়েছে অনেক বেসরকারি হোটেল, ধর্মশালা, অতিথি ভবন। নেটে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। দ্বারকায় যাবতীয় হোটেলের সন্ধান পেতে দেখুন http://dwarkadishtemple.co.in/

ভীমাশংকর

bhimashankar
ছবি সৌজন্যে টেম্পল পুরোহিত।

কৃষ্ণার শাখানদী ভীমার উৎসমুখে প্রায় ৩৪০০ ফুট উঁচু পাহাড়ে অবস্থিত এই মন্দির। ভিল উপজাতির আদিপুরুষ ভিলের আবিষ্কার এই স্বয়ম্ভু দেবতা। বর্তমান মন্দিরটি ১৮ শতকে নানা ফড়নবিশের গড়া। কালো মর্মরে নাগারা শৈলীর মন্দির, কার্ভিং-এর কাজও সুন্দর। জঙ্গল-পাহাড়ে ঘেরা ভীমাশংকরের পরিবেশ ভারী সুন্দর। ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি হয়েছে ভীমাশংকর।

কী ভাবে যাবেন

পুনে থেকে ৯৫ কিমি দূরে ভীমাশংকর। দেশের প্রায় সব জায়গার সঙ্গে ট্রেন ও বিমানপথে যুক্ত পুনে। এখান থেকে বাস পাওয়া যায় ভীমাশংকর যাওয়ার। গাড়ি ভাড়া করেও আসতে পারেন। মুম্বই থেকে ২১১ কিমি, বাস বা গাড়িতে আসা যায়।

কোথায় থাকবেন

মহারাষ্ট্র পর্যটনের ভীমাশংকর হলিডে রিসর্টে থাকুন। অনলাইন বুকিং maharashtratourism.gov,in । তা ছাড়া রয়েছে ভীমাশংকরের ৯ কিমি আগে হোটেল নটরাজ (০৯৪০৪০৭০৫৭৫, ০৯৯৬০০০০৬৬৩)। তা ছাড়া মুম্বই বা পুনে থেকেও ঘুরে নিতে পারেন ভীমাশংকর। এই দুই জায়গায় থাকার অঢেল জায়গা আছে। নেট সার্চ করে সন্ধান পেয়ে যাবেন।  

গৃষণেশ্বর

grishaneshwar
ছবি সৌজন্যে ট্র্যাওয়েল ডট ইন।

অতীত মন্দির ধ্বংসের পর রানি অহল্যাবাঈ ১৮ শতকে বর্তমান মন্দিরটি গড়ে দেন। ক্রিম রঙের শিখরের মন্দিরে কালো পিঙ্গল বর্ণের জ্যোতির্লিঙ্গ শিব। মন্দির থেকে মাত্র দেড় কিমি দূরে জগদ্বিখ্যাত ইলোরা গুহা।

কী ভাবে যাবেন

আওরঙ্গাবাদ থেকে গৃষণেশ্বর সড়কপথে ৩২ কিমি। বাস, গাড়ি বা অটোয় আসা যায়। কলকাতা থেকে আওরঙ্গাবাদ যাওয়ার সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আওরঙ্গাবাদ যেতে হলে মানমাড় স্টেশনে ট্রেন বদল করতে হবে। দিল্লি, মুম্বই বা চেন্নাই থেকে সরাসরি ট্রেনে আওরঙ্গাবাদ আসা যায়।

কোথায় থাকবেন

ইলোরা গুহা আর গৃষণেশ্বর মন্দির এক সঙ্গে দেখে নেবেন। এর জন্য থাকতে পারেন ইলোরা বা আওরঙ্গাবাদে। দু’ জায়গাতেই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় অনেক থাকার জায়গা আছে। নেট সার্চ করে সন্ধান পাবেন। আর আওরঙ্গাবাদে রয়েছে মহারাষ্ট্র পর্যটনের রিসর্ট। অনলাইন বুকিং https://www.maharashtratourism.gov.in/

ত্র্যম্বকেশ্বর

trimbakeshwar
ছবি সৌজন্যে ডেকান ক্রনিকল

প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় মন্দির-শহর। শিব-বিষ্ণু-ব্রহ্মার সমন্বয়ে চতুর্মুখী দেবতা শিব। ১৭৫০ সালে নবরূপে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করেন বালাজি বাজীরাও। ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৭৮৫-তে।

কী ভাবে যাবেন

নাসিক রোড স্টেশন ভারতের প্রায় সব জায়গার সঙ্গে ট্রেনপথে যুক্ত। সেখান  থেকে ৩৫ কিমি দূরে ত্র্যম্বকেশ্বর। নিয়মিত বাস চলে, গাড়িতেও আসা যায়।

কোথায় থাকবেন

ত্র্যম্বকেশ্বর রয়েছে মহারাষ্ট্র পর্যটনের সংস্ক্রুতি হলিডে রিসর্ট। অনলাইন বুকিং https://www.maharashtratourism.gov.in/।  এ ছাড়া রয়েছে বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল। ইচ্ছা করলে নাসিকেও থাকতে পারেন। নেট সার্চ করলে হোটেলের সন্ধান পাবেন।

রামনাথস্বামী

ramnathswamy
ছবি সৌজন্যে এএনআই।

দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের শেষ প্রান্তভূমি পক প্রণালীতে শঙ্খরূপী দ্বীপভূমি রামেশ্বরম। সেখানেই অবস্থান রামনাথস্বামীর। সোনার বেদিতে দেবতা। দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্যরীতিতে তৈরি মন্দির বিশালতায় অদ্বিতীয়। ভাস্কর্য অতুলনীয়। ১২১২ স্তম্ভের মন্দির ১২ শতকে চোল রাজাদের হাতে শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯ শতকে নায়ক রাজাদের হাতে। বিশ্বের বৃহত্তম অলিন্দটি রয়েছে রামেশ্বরম মন্দিরে। পিরামিডধর্মী গোপুরম রয়েছে পুব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণে।

কী ভাবে যাবেন

দেশের যে কোনো প্রান্তের সঙ্গে ট্রেন ও বিমানপথে যুক্ত চেন্নাই। সেখান থেকে ট্রেনে রামেশ্বরম। চেন্নাই থেকে সড়কপথে রামেশ্বরমের দূরত্ব ৬০১ কিমি। বাসে বা গাড়িতেও আসা যায়।

কোথায় থাকবেন

রয়েছে তামিলনাড়ু পর্যটনের হোটেল তামিলনাড়ু। অনলাইন বুকিং http://www.ttdconline.com/। এ ছাড়াও প্রচুর হোটেল আছে রামেশ্বরমে। নেট সার্চ করলে সন্ধান পাওয়া যাবে।

মল্লিকার্জুন স্বামী

mallikarjuna swamy
ছবি সৌজন্যে টেম্পল টাইমিংস।

অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীশৈলমে অবস্থিত। নাল্লামালাই পাহাড়ের মাথায় এই মন্দির। কৃষ্ণা নদীর দক্ষিণ তীরে। দেশের অন্যতম প্রাচীন তীর্থক্ষেত্র।

কী ভাবে যাবেন

মারকাপুর রোড ভারতের প্রায় সব জায়গার সঙ্গে ট্রেনপথে যুক্ত। মারকাপুর রোড থেকে শ্রীশৈলম ৮৪ কিমি, বাস বা গাড়ি পাওয়া যায়। বিমানে বা ট্রেনে হায়দরাবাদ এসে সেখান থেকে শ্রীশৈলম আসা যায়। দূরত্ব ২১৩ কিমি, বাস বা গাড়ি পাওয়া যায়।    

কোথায় থাকবেন

বিলাসবহুল থেকে সাধারণ, অনেক অতিথিশালা আছে মন্দির কমিটির। অনলাইন বুকিং http://www.srisailamonline.com/

বৈদ্যনাথধাম

vaidyanathdhamঝাড়খণ্ড রাজ্যের দেওঘরে অবস্থিত এই মন্দির। এই মন্দিরটি বাবাধাম নামেও পরিচিত। ৭২ ফুট উঁচু মন্দিরে দ্বাদশ বৈদ্যনাথ অধিষ্ঠিত। মন্দির চত্বরে নানা দেবদেবীর আরও ২২টি মন্দির আছে।

কী ভাবে যাবেন

ভারতের যে কোনো জায়গা থেকে ট্রেনে আসতে হলে দেওঘর থেকে ৮ কিমি দূরে জসিদি জংশনে নামতে হবে। সেখান থেকে ট্রেন, গাড়ি বা অটো করে দেওঘর আসা যায়। কাছাকাছি বিমানবন্দর রাঁচি ২৫০ কিমি, পটনা ২৫২ কিমি, কলকাতা ৩২৪ কিমি।

কোথায় থাকবেন

থাকার জন্য রয়েছে অসংখ্য হোটেল, রিসর্ট আর ধর্মশালা। নেটে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। রয়েছে ঝাড়খণ্ড পর্যটনের হোটেল বৈদ্যনাথ বিহার আর হোটেল নটরাজ বিহার। অনলাইন বুকিং http://jharkhandtourism.gov.in

মহাকালেশ্বর

mahakaleshwar
ছবি সৌজন্যে মিডিয়াম।

মন্দিরটি মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের উজ্জৈন শহরে অবস্থিত। এই মন্দিরে শিবের বিগ্রহ দক্ষিণমুখী বলে একে ‘দক্ষিণামূর্তি’ বলা হয়। শিবরাত্রির দিনে এই মন্দিরের কাছেই বিশাল মেলা বসে এবং সারা রাত ধরে পুজো হয়।

কী ভাবে যাবেন

ভারতের প্রায় সব জায়গা উজ্জৈনের সঙ্গে ট্রেনপথে যুক্ত। অথবা ট্রেন বা বিমানে ইন্দৌরে এসে বাসে বা গাড়িতে উজ্জৈন আসা যায়, দূরত্ব ৬৪ কিমি। মধ্যপ্রদেশ ভ্রমণের সময় উজ্জৈন ঘুরে নেওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

উজ্জৈনেতে থাকার অনেক ব্যবস্থা রয়েছে, সরকারি এবং বেসরকারি। রয়েছে মধ্যপ্রদেশ পর্যটনের এমপিটি অবন্তিকা ও এমপিটি শিপ্রা রেসিডেন্সি। অনলাইন বুকিং http://www.mpstdc.com এবং http://www.mptourism.com/  বেসরকারি হোটেলের সন্ধান পাবেন নেট থেকে।   

ওঁকারেশ্বর

omkareshwar
ছবি সৌজন্যে ইংলিশ ডট নিউজট্র্যাক লাইভ ডট কম।

নর্মদা ও কাবেরী (দক্ষিণ ভারতের কাবেরী নয়) নদীর মিলনে সৃষ্ট ওঁ-রূপী দ্বীপে ওঁকারেশ্বর মন্দিরতীর্থ। মেনল্যান্ডের সঙ্গে সাসপেনশন ব্রিজে যুক্ত, নৌকাতে নদী পেরোনো যায়। নর্মদা পেরোতেই গলিপথে খানিকটা যেতেই ওঁকার পর্বতের ঢালে মন্দির হয়েছে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম ওঁকারেশ্বর মহাদেবের। মন্দির গড়েন সূর্যবংশীয় রাজা মান্ধাতা, তাই ওঁকারেশ্বরকে ওঁকার মান্ধাতাও বলা হয়।

কী ভাবে যাবেন

কাছের স্টেশন খান্ডোয়া। দেশের প্রায় সব জায়গার সঙ্গে ট্রেনপথে যুক্ত। খান্ডোয়া থেকে বাস বা গাড়িতে ৬০ কিমি দূরের ওঁকারেশ্বর।   

কোথায় থাকবেন

থাকার অনেক ব্যবস্থাই রয়েছে ওঁকারেশ্বরে। মধ্যপ্রদেশ পর্যটনের নর্মদা রিসর্ট। অনলাইন বুকিং http://www.mpstdc.com এবং http://www.mptourism.com/। ওঁকারেশ্বর মন্দির কমিটির শ্রীজি বিশ্রামালয় অনলাইন বুকিং  https://shriomkareshwar.org এ ছাড়াও ওঁকারেশ্বরে বহু ধর্মশালা আছে, বিশদ তথ্য ও অনলাইন বুকিং https://yatradham.org। তা ছাড়া নেট সার্চ করলে বহু বেসরকারি হোটেলের সন্ধান পাওয়া যাবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *