ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: একটা সময় ছিল, যখন মাওবাদী সমস্যায় জর্জরিত ছিল ছত্তীসগঢ়। কিন্তু সে সব এখন কার্যত অতীত। মাওবাদীদের রমরমা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন মানচিত্রে ছত্তীসগঢ়কে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর সে রাজ্যের সরকার। পর্যটকদের কাছে নতুন নতুন জায়গা তুলে ধরছে ছত্তীসগঢ় পর্যটন।
না, জায়গাগুলো নতুন নয়। বরং ঐতিহাসিক ভাবে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বছর তিন-চার হল পর্যটকদের কাছে ক্রমশ পরিচয় পাচ্ছে সে জায়গাগুলি। এমনই একটি জায়গা হল সিরপুর।
ছত্তীসগঢ়ে বেড়ানোর জায়গা বলতে আমরা অনেকেই বুঝি জগদলপুর, চিত্রকূট, গাংরেল ইত্যাদি, কিন্তু মহানদীর পাড়ে সিরপুর সত্যিই এক অনন্য জায়গা।
বৌদ্ধ, জৈন এবং হিন্দু ধর্মচর্চার অন্যতম পীঠস্থান ছিল সিরপুর। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত এখানে বৌদ্ধ মনাস্টেরি, জৈন এবং হিন্দু মন্দির গড়ে উঠেছিল। সাম্প্রতিক কালে খননকাজের মধ্যে দিয়ে সেগুলিকে আবার উদ্ধার করা হয়েছে। খননের পরে বেরিয়ে এসেছে ১২টি বৌদ্ধ বিহার, একটি জৈন বিহার, বুদ্ধ এবং মহাবীরের মূর্তি, ২২টি শিব মন্দির এবং ৫টি বিষ্ণু মন্দির। ভূপর্যটক হুয়েন সাং এসেছিলেন এখানে। এই সব সৌধ নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘সিরপুর গ্রুপ অফ টেম্পল্স।’ এ ছাড়াও সিরপুরের অন্যতম আকর্ষণ লক্ষ্মণ মন্দির এবং গন্ধেশ্বর মন্দির।
তবে শুধুমাত্র মহানদীর ধারে হাওয়া খেলে এবং সৌধ দেখে সময় কাটালেই তো চলবে না। সাইটসিয়িং-ও তো করতে হবে। সেই সুযোগও রয়েছে আপনার কাছে। সিরপুর থেকে ৭৫ কিমি দূরেই পাহাড়ের কোলে অবস্থিত বর্নপাড়া অভয়ারণ্য। বাইসন, সম্বর, চিতল, নীলগাই, বুনো শুয়োরের দেখা মিলবে এখানে।
আরও পড়ুন সবুজ প্রকৃতি আর জলাধার নিয়ে গাংরেল
কী ভাবে যাবেন
ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৭৮ কিমি দূরে সিরপুর। কলকাতা থেকে রায়পুর যাওয়ার একগাদা ট্রেন রয়েছে। তবে শালিমার-লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস গেলে দ্বিতীয় দিন সকাল সকাল রায়পুর পৌঁছোনো যাবে। সে ক্ষেত্রে বেলা দশটার মধ্যেই সিরপুর পৌঁছে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
সিরপুরে থাকার সব থেকে ভালো ব্যবস্থা ছত্তীসগঢ় পর্যটনের হুয়েন সাং টুরিস্ট রিসর্টে। এসি দ্বিশয্যা ঘর ২০০০ টাকা। অনলাইনে বুক করার জন্য লগইন করুন visitcg.in-এ।