ইতিহাস/স্থাপত্য

বিক্রমাদিত্য ও সম্রাট আকবরের স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক চুনারগড়

ঐতিহাসিক স্থান ঘুরতে চান? উইকেন্ডে ঘুরে আসুন। বারাণসীর কাছে গঙ্গার ওপর চুনারগড়। ঐতিহাসিক চুনার দুর্গ। লাল বেলে পাথরে নির্মিত এই দুর্গ। বিন্ধ্য পাহাড়ের ওপর দুর্গ বহু ইতিহাসের সাক্ষী। পাহাড়ের ওপর আছে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দির। মন্দিরে বহু ভক্তের সমাগম হয়। শোনা যায় গুপ্ত সম্রাট বিক্রমাদিত্যের সময়কার দুর্গটি। প্রাচীন ভারতের সাক্ষ্য বহন করছে। কেউ কেউ বলেন চন্দ্রার কেল্লা। […]

জিঞ্জি দুর্গ প্রাচ্যের ট্রয়

বেশিরভাগ পর্যটকদের কাছে ঐতিহাসিক দুর্গটি একেবারেই অজানা ও অচেনা। দক্ষিণ ভারতে পন্ডিচেরির খুব কাছেই এই দুর্গটির অবস্থান। পন্ডিচেরি থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে। দক্ষিণ ভারতে জিঞ্জি দুর্গে রাজাদের সঙ্গে মুঘল বাহিনীর বহুদিন ধরে যুদ্ধ চলে। অপ্রতিরোধ্য এই দুর্গ দখল করা একরকম দুরূহ ব্যাপার ছিল মুঘলদের কাছে। আট বছর পর দখল করতে পেরেছিল। যা এক ঐতিহাসিক ঘটনা।

অচেনা কলকাতা, পর্ব ৪

কলকাতায় ঐতিহ্যের ট্রাম ১৫২ বছরে পদার্পণ। কলকাতায় ট্রাম ১৫২ বছরে পড়লো। সেই উপলক্ষে সম্প্রতি এসপ্ল্যানেড ডিপোতে ছিল একাধিক অনুষ্ঠান। ১৮৮০ সালে ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ পথ হাঁটা শুরু করে। সেকালের চিতপুর রোডে ঘোড়ায় টানা ট্রাম লাইন বসে। প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলেছিল শিয়ালদা থেকে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত। ১৯০২ সালে বিদ্যুৎ চালিত ট্রাম শহরে চালু হয়। উত্তর কলকাতা

কাশীর জ্ঞানবাপী কূপ যা রহস্যে আবৃত

কাশী মোক্ষপুরী। এই স্থানের মাহাত্ম্যে শুধুই পুণ্য ও ধর্ম। শিব নিজের ত্রিশূলে সমস্ত কাশীকে ধরে রেখেছেন। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব একবার মথুর বাবুকে সঙ্গে নিয়ে কাশীধামে এসেছিলেন। তখন মণিকর্ণিকা ঘাটের শ্মশান দেখে বলেছিলেন, দেখিলাম পিঙ্গলবর্ণ জটাধারী দীর্ঘাকার এক শ্বেতকায় পুরুষ গম্ভীর পাদবিক্ষেপে শ্মশানে প্রত্যেক চিতার পার্শ্বে আগমন করিতেছেন এবং প্রত্যেক দেহীকে সযত্নে উত্তোলন করিয়া তাহার কর্ণে তারক

অজয় নদের তীরে জয়দেব কেঁদুলি

কাছে পিঠে কোথায় যাবেন ভাবছেন? চলে আসুন এক জনপ্রিয় স্থান কেঁদুলি। একদিনের জন্য পরিবার বা বন্ধুরা মিলে উপভোগ করুন। বীরভূমের জয়দেব কেঁদুলি গ্রাম। অজয় নদের তীরে এখানেই গীতগোবিন্দ রচয়িতা কবি জয়দেবের জন্মস্থান। অজয় নদের প্রান্তরে পৌষ সংক্রান্তিতে হয় জয়দেব কেঁদুলি মেলা। মেলা ঘিরে মেতে ওঠেন মানুষজন। বহু বাউলের দর্শন পাওয়া যায়। কেঁদুলির মূল আকর্ষণ। অতীতের

অচেনা কলকাতা, পর্ব ১

পর্ব ১ বটতলার কাঠখোদাই শিল্প। ঐতিহাসিক বটতলার ছাপাখানা ও কাঠখোদাই ছবি উনিশ শতকের কলকাতায় এক নতুন উদীয়মান নিদর্শন। শহরে সেই ছাপাখানার হাত ধরে মুদ্রণ শিল্পে এক বিপ্লব এলো। কথায় বলে,ধন্য হে কলিকাতা ধন্য হে তুমি,যত কিছু নতুনের তুমি জন্মভূমি। গরানহাটা অঞ্চলে নদীপথে আসত কাঠ। কারিগররা সেই কাঠ নিয়ে যেতেন বটতলা অঞ্চলে। এরপর কাঠের ব্লক খোদাই

বোলপুরের কাছেই গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের নিদর্শন! যেন এক সংগ্রহশালা, পর্ব ৫

পর্ব ৫ মুকুট তপাদার সমগ্র এশিয়ার প্রাচীনতম দুর্গামূর্তি দেউলী গ্রামে। অজয় নদীর পাড়ে পার্বতী মন্দির। যার লোকমুখে প্রচলিত নাম খ্যাঁদা পার্বতী। গবেষকরা মনে করেন মূর্তিটি পাল যুগের সময়কার। প্রস্তরমূর্তিটি গ্রামবাসীদের কাছে জাগ্রত দেবী। জনপ্রিয় ধারণা অনুযায়ী আছে বহু রহস্য। গোটা গ্রামে কোথাও দুর্গোৎসব হয় না। শরৎকালে এই প্রস্তরমূর্তিকে শাস্ত্র মতে পুজো করা হয়। নবমীর দিন

বোলপুরের কাছেই গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের নিদর্শন! যেন এক সংগ্রহশালা, পর্ব ৪

পর্ব ৪ মুকুট তপাদার ভারত তপস্বীর দেশ। তাদের শক্তির মধ্যেই থাকে ঈশ্বরের মহিমা। আমাদের দেশনায়কও শৌলমারির সাধু বা ভগবানজী হয়ে জীবনের শেষ সময় ছিলেন শোনা যায়। যাইহোক, সারাদেশের তপস্বী ও ভক্তরা পৌষ পূর্ণিমায় মকর সংক্রান্তির দিন পূণ্যস্নান করেন। দিনটি অত্যন্ত পবিত্র। মকর সংক্রান্তিতে শ্রী শ্রী লোচন দাস ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি। চৈতন্যজীবনীকার লোচন দাস ছিলেন মধ্যযুগের

বোলপুরের কাছেই গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের নিদর্শন! যেন এক সংগ্রহশালা, পর্ব- ৩

পর্ব ৩ মুকুট তপাদার দেউলীর মকর সংক্রান্তি মেলা পৌষ মাসে মকর সংক্রান্তিতে সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করে। ২০২৫ সাল, এ বছর মহাকুম্ভ স্নান। ১৪৪ বছর পর এই যোগ আসে। ১৪ই জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। বীরভূমে দেউলীর মকর সংক্রান্তি মেলা উৎসবের সঙ্গে পালন করা হয়। শ্রী শ্রী মহাদেব মন্দির, কুবের নাথ মন্দির, শ্রী শ্রী ভৈরব নাথ মন্দির

বোলপুরের কাছেই গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের নিদর্শন! যেন এক সংগ্রহশালা

মুকুট তপাদার পর্ব ২ বাংলার রাঢ় অঞ্চলটির নাম তখন লাড় দেশ। এখানে একাধিক বণিক শ্রেণীর বসবাস ছিল। অজয় নদ ধরে বাণিজ্য চলতো। দেউলী জনপদের কাছেই এক বন্দর নগর গড়ে ওঠে। সুপুর বন্দর। কার্পাস, রেশম, পশম, তসর, নীল, লাক্ষা প্ৰভৃতি নানা পণ্যদ্রব্য বন্দরে রপ্তানি হত। প্রাচীনকালে সুপুরে বাস করতেন রাজা সুবাহু। পরবর্তীতে অজয় নদ দিয়ে বহু

Scroll to Top