ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: বাঙালির অন্যতম পছন্দের গন্তব্য দিঘা। সেই দিঘায় পর্যটকদের জন্য আরও এক সুখবর। গোয়ার ধাঁচে দিঘাকে সাজিয়ে তুলতে সমুদ্রে নামতে চলেছে ঝাঁ চকচকে প্রমোদতরী।
জানা গিয়েছে, হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির তরফে ‘এমভি নিবেদিতা’ নামের একটি প্রমোদতরী দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের বিনোদন ও আনন্দের জন্য দিঘাতে একের পর এক বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন এই প্রমোদতরী।
জানা গিয়েছে, পর্যটকরা এখন সমুদ্রযাত্রার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। মেরিন ড্রাইভ ধরে দিঘা থেকে শৌলা পর্যন্ত দীর্ঘ ২৯ কিলোমিটার পথ প্রমোদতরীতে চেপে সমুদ্র সৈকতের অপরূপ শোভা উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। এর পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য থাকবে নানা ধরনের বিনোদনের বন্দোবস্ত। প্রমোদতরীতে রেস্তোরাঁ থাকবে, সঙ্গে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও থাকবে।
জানা গিয়েছে, শঙ্করপুরের ন্যায়কালী মন্দির সংলগ্ন সি বিচ থেকে ছাড়বে এই প্রমোদতরী। সেখান থেকে দিঘা, মন্দারমনির পাশাপাশি সমুদ্রের খাড়ি এলাকাগুলিও ঘুরে দেখতে পারবেন পর্যটকরা। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান বা পার্টির জন্যও এটি ভাড়া নেওয়া যাবে।
সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে পুজোর সময় থেকেই দিঘার সমুদ্র নামতে দেখা যাবে এই প্রমোদতরী। তখন থেকে বিশেষ এই ক্রুজে চেপে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানো যাবে। যাবতীয় প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে. ২০১৯ সালে ‘এমভি নিবেদিতা’-কে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা হবে বলেও মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু, করোনার কারণে সমুদ্রের বুকে প্রমোদতরী নামানো সম্ভব হয়নি।
দীর্ঘদিন ‘এমভি নিবেদিতা’-র রক্ষণাবেক্ষণে পিছনে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের মোটা টাকা খরচ হত। তখনই দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে প্রমোদতরী হস্তান্তরিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাবে অনুমোদিত হওয়ার পরই তা হস্তান্তরিত করে দেওয়া হয়েছে। প্রমোদতরীর আয়ের অংশ দুটি সংস্থাই পাবে বলে জানা গিয়েছে।