ভ্রমণঅনলাইনডেস্ক: বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এমনকি এ রাজ্যের পেছনে রয়েছে গোয়া এবং কেরলের মতো রাজ্যগুলি। এমনই জানিয়েছেন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) পর্যটক বিষয়ক সাবকমিটির চেয়ারম্যান বিজয় দেওয়ান।
সিআইআই আয়োজিত বেঙ্গল ট্যুরিজম মিট শুরু হয়েছে সোমবার। সেই সভার শুরুতেই এই খবরে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত রাজ্যের পর্যটনের সঙ্গে জড়িত সবাই। এই প্রসঙ্গে দেওয়ান বলেন, “বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের ক্ষেত্রে গোয়া এবং কেরলের থেকেও এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। সারা দেশের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে এ রাজ্য। গুণগত পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের থেকে অনেকটা এগিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।”
রাজ্যের মধ্যে দার্জিলিং এবং তার সন্নিহিত অঞ্চল বিদেশি পর্যটকদের বেশি আকর্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন পাহাড়ের ট্যুর অপারেটররা। ইস্টার্ন হিমালয়া ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি বলেন, “দার্জিলিং এবং সন্নিহিত অঞ্চলেই পর্যটকের পা বেশি করে পড়ছে। এর মূল কারণ হল আবহাওয়া। অনেক ঠান্ডার দেশের থেকে দার্জিলিং-এর আবহাওয়া মনোরম। পাশাপাশি এখানে টয়ট্রেনের মতো ইউনেস্কোর হেরিটেজ জিনিস রয়েছে।”
পাহাড়ে হোমস্টে কেন্দ্রিক পর্যটন, পর্যটন ব্যবসাকে আরও উন্নত করেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “হোমস্টেগুলির জন্য পাহাড়ে পর্যটনে আরও জোয়ার এসেছে। এর ফলে পাহাড়ের মানুষের মধ্যে আরও কর্মসংস্থান বেড়েছে। অনেক উন্নত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি, তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রত্যাশামতো পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। আমরা সেই সব দিক ভালো করে খতিয়ে দেখে পর্যটন ব্যবসাকে আরও উন্নত করব।”
পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়ায় হেরিটেজ পর্যটন, পার্ক স্ট্রিট, ট্যাংরা, সেক্টর ফাইভে বিনোদন হাব এবং এ ছাড়াও রাজ্য জুড়ে নদী পর্যটনের জোয়ার আনার ডাক দিয়েছেন দেওয়ান।