দেহরাদুন: কেদারনাথ ও যমুনোত্রীর হাঁটাপথ সম্পর্কে ভ্রামণিক ও তীর্থযাত্রীরা যথেষ্টই ওয়াকিবহাল। চারধামের বাকি দু’ ধাম অর্থাৎ গঙ্গোত্রী ও বদরীনাথের ক্ষেত্রে হাঁটার কোনো প্রশ্নই নেই। কিন্তু একটা সময় ছিল, এই চারধাম পুরোটাই হেঁটে যেতে হত। সেই সব হাঁটাপথের বেশির ভাগই কালের নিয়মে হারিয়ে গিয়েছে। কারণ কাউকে আর সেই পথে হেঁটে চারধামে যেতে হয় না। এমনই তিনটি প্রাচীন পথ আবিষ্কার করলেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি রাকেশ পন্থের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞদল ১১৫৮ কিমি হেঁটে ওই তিন পথের সন্ধান পেয়েছেন। পর্যটন-বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ওই তিন পথকে যদি স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনা যায় তা হলে উত্তরাখণ্ডের পর্যটনে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে।
ওই তিন পথ হল – (১) হৃষীকেশ-দেবপ্রয়াগ হাঁটাপথ, (২) ভাটোয়ারি-বেলাক পাস-বুধ কেদার-পানওয়ালি কন্থা বুগিয়াল-ত্রিযুগীনারায়ণ হয়ে গঙ্গোত্রী থেকে কেদারনাথ হাঁটাপথ এবং (৩) ফলচা টপ হয়ে ধরাসু থেকে যমুনোত্রী।
রাকেশ পন্থ বলেন, “এই পথে হাঁটা একটু শ্রমসাধ্য, কিন্তু বেশ চ্যালেঞ্জিং। এই পথে হেঁটে যেতে পারলে অভিজ্ঞতার ঝুলিটা ভরে যাবে। চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে এই যাত্রা।”
রাকেশবাবু জানান, তাঁরা ওই পথে নব্বই-ঊর্ধ্ব বেশ কিছু মানুষের দেখা পেয়েছেন, যাঁরা তাঁদের স্মৃতি থেকে অনেক কথা শুনিয়েছেন রাকেশবাবুদের। এক সময়ে এই হাঁটাপথ যে কত জমজমাট ছিল, তীর্থযাত্রীদের নিয়মিত পদচারণা ছিল, সে কথা শুনিয়েছেন তাঁরা।
রাকেশবাবু আরও বলেন, এই পুরোনো হাঁটাপথগুলো জাগিয়ে তোলার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, টিহরি ড্যাম তৈরি হওয়ার পর চারধাম যাওয়ার অগণিত হাঁটাপথ হারিয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, রাকেশ পন্থ একটা এনজিও চালান।