ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন সৌধ পর্যটকদের জন্য খুলে গেলেও আগরার তাজমহল খুলছে না। সেই সঙ্গে আগরার অন্যান্য সৌধগুলিও। আগরা জেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের নির্দেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সোমবার থেকে তাদের দায়িত্বে থাকা সৌধগুলির দরজা খুলে দিচ্ছে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। সেই মতো তাজমহলের দরজা খুলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চেনা বৃত্তের বাইরে: কাশীরাম দাসের সিঙ্গি গ্রাম
নতুন নির্দেশিকায় প্রশাসন বলেছে, কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে যে বাফার জোন রয়েছে, সেখানেই আগরার সৌধগুলি অবস্থিত। তাই সেখানে পর্যটকদের এখনই ঢুকতে দেওয়া যাবে না। তাদের আশঙ্কা, পর্যটকের সমাগম বাড়লে আগরা করোনা-পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে যেতে পারে।
নির্দেশিকা জারি করে আগরার জেলাশাসক প্রভু এন সিং বলেছেন, এখন শহরে ৭১টি সক্রিয় কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। আর আগরার দর্শনীয় স্থানগুলি যথা তাজমহল, আগরা ফোর্ট, ফতেপুর সিকরি, সিকান্দ্রায় আকবরের সমাধি, রাম বাগ, ইতিমাদ-উদ-দ্দৌলা প্রভৃতি রয়েছে কনটেনমেন্ট জোন লাগোয়া বাফার জোনে। এই অঞ্চলে পর্যটক সমাগম হলে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আনলক ২.০ নিয়ে যে নির্দেশিকা জারি করেছে তাতে বলা হয়েছে, বাফার জোনের ক্ষেত্রে কী কী নিষেধাজ্ঞা বলবৎ তা জেলা কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে।
জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, এমনিতে আগরায় করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। যতগুলো নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে, তার মোটামুটি তিন শতাংশ পজিটিভ আসছে। কিন্তু যেখানে করোনা বেশি ছড়িয়েছে সেই দিল্লি আর এনসিআর (ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন) তো আগরা থেকে খুব দূরে নয়।
এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “এখন ট্রেন, উড়ান বন্ধ। সুতরাং পর্যটক যা আসার তা তো দিল্লি আর এনসিআর থেকেই আসবে। আর এটাই আমাদের আশঙ্কার কারণ।”
তবে তাজমহল বন্ধ থাকলেও দেশের অন্য প্রান্তে এএসআইয়ের সৌধগুলিই সোমবারই খুলছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।