ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: নতুন বছরের আগেই ভক্তদের জন্য খুলে যেতে পারে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। মন্দির প্রশাশনের তরফে এই খবর দেওয়া হয়েছে। কোভিড অতিমারি পরিস্থিতির জন্য গত ন’ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে পুরীর মন্দির।
শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর (এসজেটিএ) মুখ্য প্রশাসক কৃষন কুমার জানিয়েছেন, ভক্তদের ধর্মীয় আবেগের কথা মাথায় রেখে মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বাদশ শতকের এই মন্দির খুলে দেওয়া হলে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়ি ভাবে পালন করা হবে বলে জানান কৃষন কুমার।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে কৃষন কুমার জানান, সেবায়েতদের সংগঠন ‘ছতিসা নিজোগ’-এর বৈঠক হয়েছে এবং এসজেটিএ তাদের সুপারিশ রা্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেবে। মন্দির খোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রাজ্য সরকারের।
কৃষন কুমার বলেন, ২৩ ডিসেম্বর মন্দির খোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথমে পুরীর স্থানীয় মানুষজন মন্দিরে ঢোকার সুযোগ পাবেন। মন্দির ও তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষায় কী পদ্ধতি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) অবলম্বন করা হবে, তা সরকারের সম্মতি আসার পর ঠিক হবে।
“খোলার পর প্রথম পাঁচ দিন যাতে শুধু পুরীর মানুষজনই দর্শন করতে পারেন, তার জন্য আমরা সরকারকে বলব। এই মানুষগুলো মন্দিরের এত কাছে থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন প্রভু জগন্নাথকে দর্শন করতে পারেননি” – বলেন মুখ্য প্রশাসক।
নতুন বছরের প্রথম দিন পুরীতে পর্যটক তথা তীর্থযাত্রীদের খুব ভিড় হতে পারে। তাই ওই দু’ দিন মন্দির বন্ধ রাখা হবে। ৩ জানুয়ারি থেকে সকলের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে বলে কৃষন কুমার জানান।
মন্দিরে ঢোকার জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়া হয়েছে এমন কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে এবং র্যাট এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট গ্রহণ করা হবে। সমস্ত সেবায়েতকে আইডেনটিটি কার্ড দেখাতে হবে।
গোড়ার দিকে দৈনিক ৫০০০ ভক্তকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে। পরে এক সপ্তাহ অন্তর অন্তর দৈনিক ভক্তের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে মুখ্য প্রশাসক জানান।
আরও পড়ুন: ‘ভ্যাকেশন’ নয়, নব্য স্বাভাবিকতার নতুন ধারা ‘ওয়ার্কেশন’