দার্জিলিং: পাহাড়ের রানি দার্জিলিং-এর অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থানের মানচিত্রে এ বার ঢুকে পড়তে চলেছে লালকুঠি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে লালকুঠিকে পর্যটনের মূল কেন্দ্র করে গড়ে তুলতে চলেছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)।
আগেও বেশ কয়েকবার দার্জিলিং এসে লালকুঠিকে হেরিটেজ স্থান হিসেবে পর্যটকের সামনে তুলে ধরার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার নেতাজির জন্মদিবস উপলক্ষ্যেও পাহাড়ে গিয়ে একই কথা জিটিএ প্রধান বিনয় তামাংকে মনে করিয়ে দেন তিনি।
লালকুঠির আসল নাম গৌরী বিলাস। রানি ভবানী দেওয়ান রায়কে উৎসর্গ করে এটি তৈরি করেছিলেন কোচবিহারের তৎকালীন রাজা প্রসাদনারায়ণ রায়। রাজা ও রানি একাধিকবার সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। যাতে আমন্ত্রণ জানানো হত ব্রিটিশ শাসকদেরও। ১৯৪২ সালে এই বাড়িটি ব্রিটিশদের হাতে আসে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা ভারত ছাড়ার পর ধীরে ধীরে এটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিণত হয়।
বাড়িটি ভারত সরকার অধিগ্রহণ করলে প্রথমে ডিজিএইচসি এবং পরবর্তী কালে জিটিএ-এর প্রধান কার্যালয় হয়। একাধিক হিন্দি এবং বাংলা সিনেমার শুটিং হয়েছে এই বাড়িতে, যার মধ্যে অন্যতম ড্যানি ডেনজংপা এবং তনুজা অভিনিত লালকুঠি।
দার্জিলিং চিড়িয়াখানা, মাউন্টেনিয়ারিং ইস্টিটিউট, তেনজিং রক, হ্যাপি ভ্যালি টি এস্টেটের মতোই লালকুঠিকেও দার্জিলিং-এর অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর জিটিএ এবং রাজ্য।