কেদারনাথ: রীতি মেনেই ভাইফোঁটার দিন ভোরে দরজা বন্ধ হল কেদারনাথের। শীতকালীন আবাস উখিমঠের পথে রওনা দিয়েছেন কেদারনাথ।
চারধামের জন্য খ্যাত উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল। সেই চারধাম, অর্থাৎ যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদরীনাথ শীতের ছ’ মাস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায় নেমে আসেন অধিষ্ঠিত দেবদেবীরা।

চিরাচরিত রীতি মেনে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ কেদারনাথে কপাট বন্ধ হওয়ার যাবতীয় পুজো শুরু হয়। সকাল ছ’টায় বন্ধ হয়ে যায় দরজা।
সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হয়েছে ডুলিযাত্রা। মঙ্গলবার কেদারনাথ বিশ্রাম নেবেন রামপুরে। বুধবার গুপ্তকাশীর মন্দিরে বিশ্রাম নেবেন তিনি। তবে তার আগে ফাটা অঞ্চলের একটি হাসপাতালে এক ঘণ্টার জন্য থাকবেন কেদারনাথ। সেখানে স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাঁকে দর্শন করবেন। এর পর বৃহস্পতিবার উখিমঠের ওঙ্কারেশ্বর মন্দির পৌঁছে যাবেন কেদারনাথ।
এরই মধ্যে দিয়ে ছ’ মাসের জন্য পুরো বন্ধ হয়ে গেল কেদার। আবার খুলবে সামনের বছর অক্ষয়তৃতীয়ায়।
আরও পড়ুন কার্তিক পূর্ণিমায় চলুন বারাণসী, সাক্ষী থাকুন দেব-দীপাবলির
একই ভাবে এ দিনই বন্ধ হচ্ছে যমুনোত্রীও। তিনি নামবেন খরসলিতে। সোমবার বন্ধ হয়েছে গঙ্গোত্রী মন্দির। গঙ্গোত্রীর শীতকালীন আবাসস্থল হরশিলের কাছে মুখবা গ্রাম। সোমবার মুখবার চার কিমি আগে ছন্দমতী মন্দিরে বিশ্রাম নিয়েছেন গঙ্গোত্রী।
চারধামের চতুর্থ ধাম বদরীনাথ অবশ্য এখনও খোলা থাকছে আরও কয়েক দিন। আগামী ১৭ নভেম্বর বন্ধ হবে বদরী মন্দির। বদরীনাথ নেমে আসবেন জোশীমঠে।
এ দিকে কেদার বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি পঞ্চকেদারের চারটে কেদারও ধীরে ধীরে বন্ধ হওয়ার পথে। এই চার জনের মধ্যে কেদারনাথ এবং মদমহেশ্বরের শীতকালীন আবাস স্থল উখিমঠ। রুদ্রনাথ থাকেন গোপেশ্বরে এবং তুঙ্গনাথ থাকেন মুক্কুমঠে। কল্পেশ্বরের কেদার অবশ্য সারা বছরই সেখানে থাকেন।
তথ্য সহায়তা: সৌমিশ্র মিত্র