ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক : বারাণসীর এক বিখ্যাত উৎসব হল দেব-দীপাবলি। তবে দীপাবলি আর দেব-দীপাবলি এক নয়। এই দুই উৎসবই আলোর হলেও পুজোর রীতির দিক দিয়ে দু’টি আলাদা। দেবাদিদেব মহাদেব ত্রিপুরাসুরকে বধ করেছিলেন। দেব-দীপাবলি হল ত্রিপুরাসুরকে বধ করার বিজয় উৎসব। দীপাবলির ১৫ দিন পরে বারাণসীতে পালিত হয় এই দেব-দীপাবলি। কার্তিক পূর্ণিমায় পালিত হওয়া এই উৎসবটি ত্রিপুরোৎসব নামেও পরিচিত। এ বছর ১২ নভেম্বর পালিত হচ্ছে দেব-দীপাবলি।
এই দিনে বহু ভক্ত গঙ্গা ঘাটে আসেন এবং গঙ্গায় স্নান করেন। এবং সন্ধ্যায় গঙ্গায় প্রদীপ ভাসানো হয়, যাকে ‘দীপদান’ বলা হয়। সন্ধ্যা হলেই গঙ্গার ঘাটগুলির সিঁড়ি হাজার হাজার প্রদীপ দিয়ে সাজানো হয়। এবং ঘাটের ধারের মন্দিরগুলিও সাজানো হয় প্রদীপ দিয়ে।
দেব দীপাবলির রীতি
এই দিন আলোয় সেজে ওঠে শহরের প্রতিটি কোণা। সব বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো হয় এবং মনে হয় আকাশের তারা যেন শয়ে শয়ে নীচে নেমে এসেছে। বারাণসীবাসী মনে করেন সমস্ত দেবদেবী এই সময় বারাণসীতে আসেন এবং স্নান করেন গঙ্গায়।
এই উৎসবের প্রধান রীতি হল গঙ্গাস্নান, যা ‘কার্তিকস্নান’ নামে পরিচিত এবং আরেকটি রীতি হল দীপদান। অজস্র মানুষ এ দিন গঙ্গায় স্নান করেন এবং প্রদীপ ভাসান এবং প্রার্থনা করেন গঙ্গামায়ের উদ্দেশে। সন্ধ্যায় দীপদানের পরে বারাণসীর বিখ্যাত আরতি হয়। সারা দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত, পর্যটক এই দিনে আসেন বারাণসী।
এই দিনটিতে দেব-দীপাবলি পালন করা ছাড়াও স্মরণ করা হয় শহিদদের। দশাশ্বমেধ ঘাটে অমর জওয়ান জ্যোতিতে সে দিন পুষ্প প্রদান করা হয়। এই অনুষ্ঠান শেষ হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠান দিয়ে। এ ছাড়া এই দিন ভগীরথ শৌর্য সম্মান পুরস্কার দেওয়া হয়।
এই উৎসবে যেতে চান বারাণসী? তা হলে তাড়াতাড়ি বুক করে ফেলুন হোটেল। সারা দেশ থেকে লোক আসার জন্য হোটেল পাওয়া মুশকিল হতে পারে। দেব-দীপাবলির এই উৎসবে আলোকিত বারাণসী শহর দেখলে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।