ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে ই-কেটারিং পরিষেবা ফিরে আসতে পারে। শর্ত একটাই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে আইআরসিটিসি সূত্রে।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় রেল সফরে যাত্রীদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় রেল। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত মে মাস থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে ‘রেডি টু ইট মিল’ পরিবেশন করা হচ্ছিল। বিমানের ধাঁচে ওই সব প্যাকেটজাত খাদ্য যাত্রীর উপস্থিতিতেই মূলত মোড়ক খুলে গরম জল ঢেলে তৈরি করে দেওয়া হত।
পোহা (চিঁড়ের পোলাও), নুডলস-জাতীয় খাবারই বেশি পরিবেশন করা হচ্ছিল। স্পর্শ থেকে সংক্রমণ এড়াতেই ওই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। এই পরিষেবার জন্য নেসলে, টাটা স্মার্ট ফুড, হলদিরাম স্ন্যাক্স, আইটিসি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন তথা আইআরসিটিসি।
চারশো ট্রেনে ই-কেটারিং পরিষেবা
আইআরসিটিসি সূত্রে খবর, সারা দেশে সাড়ে চারশোরও বেশি ভেন্ডরকে ই-কেটারিং ব্যবস্থায় খাবার সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এই পরিষেবা মিলতে পারে দেশের চারশোটি ট্রেনে। সারা দেশে আইআরসিটিসি-র যে সব বেস কিচেন রয়েছে সেগুলিকেও ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
ইতিমধ্যেই রেলের ফুড প্লাজাগুলিতে বসে খাবার খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওই সব ফুড প্লাজা থেকে খাবার কিনে নিয়ে যাওয়ার সুবিধাও মিলছে।
ই-কেটারিং ব্যবস্থায় যাত্রীরা আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে চাহিদামতো খাবার ‘বুক’ করার সুবিধে পাবেন। তবে খাবার পেতে গেলে অন্তত দু’ ঘণ্টা আগে তা ‘বুক’ করতে হবে। ট্রেনে সফর করার সময়েও যাত্রীরা তাঁদের পিএনআর, ট্রেনের নাম, কোচের নম্বর এবং বার্থ নম্বর জানিয়ে আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে খাবার অর্ডার করতে পারবেন। দাম মেটাতে হবে অনলাইনে।
এই পরিষেবার জন্য ইতিমধ্যেই সুইগি, রেলরেস্ট্রো-র মতো বিভিন্ন ই-কেটারিং সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে আইআরসিটিসি।
পূর্ব রেলে ই-কেটারিং
এ রাজ্যে হাওড়া, শিয়ালদহ,কলকাতা, দুর্গাপুর, আসানসোল এবং মালদহে ওই ব্যবস্থা চালু হবে দ্রুত। এ ছাড়া খুব তাড়াতাড়ি বোলপুর এবং বর্ধমানকেও এর আওতায় আনা হচ্ছে। যাত্রীরা খাবার অর্ডার করলে ওই সব স্টেশন থেকে তাঁদের খাবার নির্দিষ্ট কামরায় পোঁছে দেওয়া হবে।
এ ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আওতায় খড়গপুর এবং নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনেও ওই সুবিধা মিলবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে এ বার ট্রেনেই চলুন কক্সবাজার, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে