ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: লাদাখের ‘সংরক্ষিত’ অঞ্চলগুলিতে যাতে ভারতীয় পর্যটকরা স্বচ্ছন্দে যেতে পারেন তার জন্য ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) প্রথা তুলে দিল লাদাখ প্রশাসন। পর্যটনের বিকাশে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। তবে বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রে এই ইনার লাইন পারমিট আবশ্যিকই থাকছে।
এর ফলে ওই সব সংরক্ষিত জায়গায় যেতে হলে ভারতীয় পর্যটকদের আর সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে না। কারগিলের বাটালিকের মতো জায়গাগুলিতে সহজেই যেতে পারবেন দেশীয় পর্যটকরা।
তবে ওই সব জায়গায় ভ্রমণ করতে হলে ৩০০ টাকা করে গ্রিন ফি বা পরিবেশ সংক্রান্ত ফি আর ১০০ টাকা করে রেড ক্রস ফান্ড ফি যথারীতি দিতে হবে। হোটেলে থেকে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ওই ফি দেওয়া যাবে।
কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
(১) ভারতীয় পর্যটকদের বৈধ আইডি প্রুফ (ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড বা পাসপোর্ট) সঙ্গে রাখতে হবে।
(২) পর্যটকদের মনে রাখতে হবে, আইএলপি ব্যবস্থা উঠে যাওয়া মানে তাঁরা যেখানে খুশি যেতে পারবেন, তা নয়। কোন কোন জায়গায় পর্যটকরা যেতে পারবেন না, সে সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই জারি করবে লাদাখ প্রশাসন। তবে সেই সব জায়গার মধ্যে বেশির ভাগই সীমান্তবর্তী ‘জিরো-কিমি’ গ্রামগুলো পড়বে।
(৩) গত শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এ সংক্রান্ত একটা তালিকা চেয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে ওই অঞ্চলগুলি চূড়ান্ত করা হবে।
(৪) নুব্রা উপত্যকায় পাকিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন ডুংতি, কোয়ুল ও থাং গ্রাম এবং নিয়োমাতে ডেমচক ও চুমার পর্যটকদের গন্তব্যের বাইরে থাকবে বলেই মনে হয়।
ফিরে দেখা
১৯৪৭ সালে লাদাখ অঞ্চল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময়ে লাদাখের খুব কম জায়গাতেই পর্যটকরা যেতে পারতেন। একটা সময় ছিল যখন পর্যটকদের সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে প্যাঙ্গং সো ঘুরে চলে আসতে হত। তার পর থেকে একটু একটু করে লাদাখের বহু জায়গা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।