ভ্রমণ অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাস-আতঙ্কে সারা দেশে। প্রায় সমস্ত কলকারখানা বন্ধ। দিল্লিও তার ব্যতিক্রম নয়। ফলে অন্তত আঠারো দিন তো বটেই, বরং তারও আগে থেকে যমুনায় বর্জ্য ফেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে দিল্লিতে যমুনার জল এখন স্বচ্ছ, পরিষ্কার। যমুনার যখন এত পরিষ্কার, তখন গঙ্গা কি পিছিয়ে থাকতে পারে?
খবর পাওয়া গিয়েছে, হরিদ্বার ও হৃষীকেশে গঙ্গার জল একেবারে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এবং এই জল পরীক্ষা করে দেখেছেন পরিবেশ-বিজ্ঞানী এবং গুরুকুল কাঙরি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক বিডি জোশি।
অধ্যাপক জোশি বলেছেন, দীর্ঘদিন পর হরিদ্বারে গঙ্গার জল এতই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে তা দিয়ে আচমন (পুজো করার আগে জল মুখে দেওয়া) করা যায়।
তিনি জানিয়েছেন, গঙ্গার জল পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কারণ হল, মোট দ্রবীভূত কঠিন পদার্থ (টোটাল ডিসলভ্ড সলিড), শিল্পবর্জ্য এবং ধর্মশালা, লজ ও হোটেলের নিকাশি বর্জ্য ৫০০ শতাংশ কমে যাওয়া।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে মানসভ্রমণ: নেল্লিয়ামপাতি
গঙ্গা সভার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় বশিষ্ঠ বলেন, এত পরিষ্কার গঙ্গা আগে কখনও দেখা যায়নি। উত্তরাখণ্ডের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিজিওন্যাল অফিসার আর কে কথাইট জানান, গঙ্গার জল যে অনেক পালটে গিয়েছে তা খালি চোখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে হরিদ্বার-হৃষীকেশের সব কাজই তীর্থযাত্রীকেন্দ্রিক। এখন এই দুই জায়গা একেবারে তীর্থযাত্রীশূন্য। গঙ্গার জলে কোনো কাজই হচ্ছে না। তাই এই পরিবর্তন।