ভ্রমণঅনলাইনডেস্ক: জুলাই মাসে বন্ধ হয়ে যাওয়া দিল্লির দরিয়াগঞ্জের রবিবারের বইয়ের বাজার পেল নতুন ঠিকানা। এই নতুন ঠিকানা হোল দিল্লি গেট মেট্রো স্টেশনের কাছে আসফ আলি রোডে, মাহিলা হাটে। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে দোকানগুলি বন্ধ হয়ে গেলেও বইপ্রেমীদের কথা চিন্তা করে নতুন জায়গায় ফের খোলা হয়েছে দোকানটি।
![daryaganj book bazar](https://www.bhramononline.com/wp-content/uploads/2019/09/bookbazar_daryaganj-19.09.jpg)
৫০ বছরের পুরোনো এই বইপাড়ার কোনো দোকান কোনো দিন বন্ধ হয়নি। কিন্তু এ বছরের ২৬ জুলাই আদালতের নির্দেশে এই বাজার বন্ধ হয়ে যায়। এখানে বইয়ের দোকান ছিল ২৭৬টি। ট্রাফিকের সমস্যা হচ্ছে বলে বইয়ের দোকানগুলি উঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দরিয়াগঞ্জের বই বাজার বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ৩ জুলাই আদালত থেকে নির্দেশ আসে। তাতে আরও বলা হয়, জামা মসজিদের কাছের বইয়ের দোকানগুলিও বন্ধ করে দিতে হবে। জানা গিয়েছে, দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ আদালতে এই মর্মে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বইয়ের দোকানগুলির জন্য সারা দিন ধরে এই অঞ্চলে ট্রাফিক সমস্যা হয় এবং তা এক এক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এর পরেই ওই বইবাজার তুলে দেওয়ার জন্য দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু গত ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার দেখা গেল, দরিয়াগঞ্জ বইবাজারের ২৭৬ জন ব্যবসায়ীর মধ্যে ১৩৯ জন আসফ আলি রোডে মাহিলা হাটে আবার নতুন করে বইয়ের দোকান খুলছেন। মাহিলা হাটের মালিক দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বইব্যবসায়ীদের সেখানে দু’ বছরের জন্য লিজে স্টল চালানোর অনুমতি দিয়েছে। প্রতি দিন ২০০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে তাঁরা ওখানে প্রতি রবিবার দোকান সাজিয়ে বসতে পারবেন। বর্তমান লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে লিজ আরও দু’ বছর বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: চলুন ঘুরে আসা যাক ভরতপুরের রাজাদের গ্রীষ্মাবাস ডীগে
এই ব্যবস্থায় বেশ কিছু বইব্যবসায়ী খুশি নন। তাঁরা আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে পথে নামেন এবং আসফ আলি রোডে মানবশৃঙ্খলও তৈরি করেন। তাঁদের দাবি, রবিবারের বইবাজারের জন্য তাঁদের গোলচা এবং ডিলাইট সিনেমা হলের মাঝের রাস্তায় বসতে দেওয়া হোক।