কলকাতা: সান্দাকফু-ফালুট অঞ্চলে সাফাই অভিযানে আড়াই টন মদের বোতল-সহ আরও বিপুল পরিমাণ আবর্জনা উদ্ধার হয়েছে। এই অভিযানে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের সবাই এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের ধন্যবাদ দিলেন ইন্ডিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেশনের (আইএমএফ) পূর্বাঞ্চলীয় শাখার সম্পাদক তথা এভারেস্ট জয়ী পর্বতারোহী দেবরাজ দত্ত।
গত ৫ নভেম্বর মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু হয়ে ফালুটের রাস্তায় শুরু হয়েছিল এই সাফাই অভিযান। সাত দিন ধরে এই সাফাই অভিযান চলার পরে গত রবিবার এই অভিযান শেষ হয়। এই অভিযানের ব্যাপারেই নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন দেবরাজ।
আইএমএফ এবং ওএনজিসির যৌথ উদ্যোগে দেবরাজের নেতৃত্বে এই সাফাই অভিযান শুরু হয় গত সপ্তাহের সোমবার। তাঁর কথায়, “৫ নভেম্বর সকাল ৭টায় মানেভঞ্জন থেকে সাফাই অভিযান শুরু হয়। স্থানীয় ফুটবল ক্লাবের সদস্য এবং গ্রামবাসীরা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন।” মানেভঞ্জন ছেড়ে সান্দাকফুর দিকে এগোনোর সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, এমন কথা বলেন দেবরাজ।
এর পরে সাফাই অভিযানের দলটি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি দল টুমলিং-এর দিকে হাঁটতে শুরু করে। অন্য দলটি সোজা গাড়ি নিয়ে ফালুটের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেই দলটি ওইদিনই বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ফালুট পৌঁছে যায়। ফালুট যাওয়ার পথে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের সঙ্গে দেখা করে এই সাফাই অভিযানের ব্যাপারে অবগত করা হয় বলে জানিয়েছেন দেবরাজ। সেই সঙ্গে সশস্ত্র সীমা বলের ক্যাম্পে গিয়ে বার্তা দেওয়া হয়, যাতে জওয়ানরাও এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
এই সাফাই অভিযানের দলে ১৬ জন ছিলেন বলে জানিয়েছেন দেবরাজ। তিনি ছাড়াও এই দলে ছিলেন ভাস্কর দাস, ঋত্বিক বসু, যদু দেবনাথ, অমিয় মিত্র, অতনু ধর, অমিতাভ মল্লিক, আদ্রিত পাল, রঞ্জিত সর্দার, মনসা পাখিরা, সুকান্ত সরকার, কৌশিক মজুমদার, রোহিত মুখোপাধ্যায়, চিরঞ্জয় চক্রবর্তী, সৌরভ রজক এবং অর্পিতা রায়।
এই অভিযানে অংশগ্রহণ করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি হোটেল-হোমস্টে মালিক, গাইড এবং গাড়ি চালকদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
মদের বোতল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র মিলিয়ে প্রায় ৩২২৫ কেজি আবর্জনা উদ্ধার হয়েছে বলে জানান দেবরাজ। শিলিগুড়ি পুরসভার অন্তর্গত ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলে দেওয়া হয়েছে।