ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: আবহাওয়ার পূর্বাভাস একটা ছিলই, কিন্তু সেটা যে এত ভয়ংকর রূপ নেবে সেটা আন্দাজ করতে পারেননি অশোক কুমার ঘোষ, অঙ্কিতা দত্তরা। শনিবার সকালে যোশীমঠ থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নিয়েই তাঁরা রওনা হলেন বদরীনাথের পথে। বিষ্ণুপ্রয়াগ পেরিয়ে যাওয়ার পরেই বরফের রূপ নিল বৃষ্টি। যত বদরীর দিকে এগোনো, তত বরফের প্রকোপ বাড়া। শেষে বদরী যখন পৌঁছোনো গেল, তখন তরুণী অঙ্কিতার হাঁটুসমান বরফ।
প্রথম দিকের মজা আসতে আসতে বদলে গেল চিন্তায়। কারণ রাত বাড়লেও তুষারপাত থামার কোনো চিহ্নই ছিল না। তবে রবিবার থেকে উন্নতি হতে শুরু হল আবহাওয়ার। রোদ্দুর যখন উঠল, তখন দেখা গেল গোটা মন্দির-শহর বদরী ঢেকে রয়েছে পুরু বরফের আস্তরণে। শনিবারের স্তব্ধ বদরী ধীরে ধীরে প্রাণ পেল। জনজীবন স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু হল। শুরু হল বরফ কাটা। সোমবার সকালে পরিষ্কার আকাশে নীলকন্ঠে অসাধারণ সূর্যোদয় দেখে বদরীকে বিদায় জানালেন তাঁরা।
গত দু’দিনে নিজেদের মোবাইল ক্যামেরায় অসাধারণ কিছু ছবি তুলেছেন অশোকবাবু এবং অঙ্কিতা। তাঁদের সেই ছবি আমরা এখানে দিচ্ছি পাঠকদের তুষারস্নাত বদরীর ছবি দেখাতে।





