ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: এত দিন সে পরিচিত ছিল ‘ভারতের শেষ গ্রাম হিসেবে।’ বদরীনাথের কাছে মানাগ্রামের সেই পরিচিতিই এ বার বদলে গেল পুরোপুরি। এ বার থেকে সে পরিচিত হবে ‘ভারতের প্রথম গ্রাম’ হিসেবে।
মানাগ্রামে ঢোকার মুখে নতুন একটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছে বর্ডার রোড্স অর্গানাইজেশন। তাতেই মানা পরিচিত হচ্ছে ‘ভারতের প্রথম গ্রাম’ হিসেবে। ভারত-তিব্বত সীমান্তের নিকটবর্তী গ্রাম হওয়ার ফলে মানা এত দিন ‘ভারতের শেষ গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত ছিল।
এখানকার অধিবাসীরা সাধারণ যাযাবর শ্রেণির মানুষ। চিনের আগ্রাসনের সময় তিব্বত থেকে পালিয়ে আসেন। বাসিন্দাদের স্থানীয় নাম ‘মার্চা।’ চিন ও তিব্বতের সঙ্গে বাণিজ্য করতেন এঁরা। পুরোনো রীতি অনুযায়ী এখনও বদরীনাথ মন্দির বন্ধ হওয়ার সময়ে মানাগ্রামের মহিলাদের তৈরি একটি বিশেষ পশমের চাদর বিষ্ণুর মূর্তির জন্য দেওয়া হয়।

গোটা মানা গ্রামটির সঙ্গেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে মহাভারত। কথিত আছে, পাণ্ডবরা স্বর্গে যাওয়ার পথে এই মানা গ্রামে এসেছিলেন। এখান থেকেই যাত্রা শুরু হয়েছিল মহাপ্রস্থানের পথে। এই পথেই যেতে গিয়ে ক্লান্ত দ্রৌপদী চওড়া সরস্বতী নদীকে পেরোতে পারেননি। এই দেখে ভীম সরস্বতীকে সংকীর্ণ হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সরস্বতী এই অনুরোধ প্রত্যাখান করেন।
রাগান্বিত ভীম লাথি মেরে একটি পাথর আড়াআড়ি ভাবে নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন। সেই পাথরই পরিচিতি পায় ভীমপুল হিসেবে। এই ভীমপুল মানাগ্রামের এক দর্শনীয় স্থান। এ ছাড়াও এই গ্রামে রয়েছে ব্যাস গুহা এবং গনেশ গুহা।