ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: দার্জিলিং পাহাড়ে অবস্থিত এই জায়গাটির নাম অনেকের কাছেই অজানা। এক সঙ্গে মেঘ, রোদ, চা বাগান, পাহাড়, মোমো, ছোটোখাটো ট্রেকিং, প্রকৃতি, পাখি, জৈব সবজি এবং অবশ্যই কাঞ্চনজঙ্ঘা পাওয়া যায় এখানে। হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত বাড়ালেই ধরে ফেলতে পারবেন মেঘ, কখনও মেঘ চলে যাবে আপনার ভিতর দিয়ে। বারান্দায় দাড়িয়ে উপভোগ করবেন চা-পাতা তোলার দৃশ্য।
শীতের মাসে ফলে উঠবে কমলালেবু। তখন অন্য রূপ পাবে এই মাহালদিরাম, সমুদ্রতল থেকে যার উচ্চতা ৫,৮০০ ফুট।
পর্যটকদের কাছে মাহালদিরাম এখনও সে ভাবে পরিচিত না হয়ে ওঠায় ভিড়ভাট্টা এখানে অনেক কম। তাই যদি মনে করেন, মাহালদিরামের শান্ত পরিবেশে থেকেই দার্জিলিং পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে নেবেন, সেটাও অনায়াসেই করতে পারেন।
মাহালদিরাম থেকেই আপনি ঘুরতে পারেন চটকপুর, মংপু, লাটপাঞ্চার, সিটং-সহ আরও বেশ কিছু জায়গা।
মহানন্দা অভয়ারণ্যের খুব কাছেই মাহালদিরাম অবস্থিত হওয়ায় পাখিপ্রেমীদের কাছে স্বর্গরাজ্য হতে পারে জায়গাটি। ভাগ্য ভালো থাকলে হরিণ আর চিতাবাঘেরও দেখা মিলতে পারে এই মাহালদিরামে।
আরও পড়ুন স্বল্পচেনা উত্তরবঙ্গ: ভুটান পাহাড়ের পাদদেশে চামুর্চি
কী ভাবে যাবেন
প্রথমে পৌঁছোতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দরে। ট্রেনের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেখে নিন erail.in-এ। এখান থেকে মাহালদিরাম ৬২ কিমি। কার্শিয়াং থেকে ১২ কিমি। হিলকার্ট রোড ধরে কার্শিয়াং পেরিয়েই পৌঁছে যান দিলারাম মোড়। এখান থেকে ডান দিকে ঘুরে যান। দিলারাম থেকে মাহালদিরাম ১২ কিমি।
কোথায় থাকবেন
একটু খরচা সাপেক্ষ হলেও মাহালদিরামে সব থেকে ভালো জায়গাটি হল ‘টি গার্ডেন রিট্রিট।’ থাকা-খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি ১৬৫০ টাকা প্রতি দিন। যোগাযোগ ৯০০৭২২৪৮১৪ ও ৯১৬৩৪২৮৩৮৫। এ ছাড়াও রয়েছে সোনম হোমস্টে। যোগাযোগ ০৯৩৮২৩১০৪৭৬।